বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় আছে, ‘মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজী”। কিন্তু কাজী রাজি না হলে যে নিকাহ সম্ভব নয়, সেটা আর কথায় বলা হয় না। এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল ভারতে। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে ডিজে-র কারণে একজন কাজী নিকাহ পড়াতে অস্বীকার করেন। আসলে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জুলুসে ডিজে বাজিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছায় বর পক্ষ। এতে কাজী চটে যান তিনি নিকাহ পড়াতে অস্বীকার করেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা বোঝানোর পর কাজী সাহেব একটি শর্তে রাজি হন। শর্ত অনুযায়ী বর-কনের বাড়ির লোকেরা মঞ্চে গিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন। এরপর রাত দেড়টায় কাজী নিকাহ পড়ান।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, এরপর শহরের তিনজন কাজী মিলে ফতোয়া জারি করে মুসলিম সমাজে বিয়েতে ডিজে নিষিদ্ধ করেন। ফতোয়া লঙ্ঘনের জন্য ছেল পক্ষকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে জানা গিয়েছে। ফতোয়ায় এও বলা হয়েছে যে, মিছিলে ডিজে বাজানোর পর যদি কোনো কাজী নিকাহ পড়ান, তাহলে তাঁকেও ৫১০০ টাকা জরিমানা করা হবে।
ঝাঁসির মদিনা মসজিদের কাজী আতাউল্লাহ খান জানান, ঝাঁসির ৯ নম্বর কালভার্টে থাকা এক মেয়ের সম্বন্ধ গুরসরাইয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের ৭ দিন আগেই মিছিলে যাতে ডিজে না বাজানো হয়, তা বাড়ি বয়ে বলে এসেছিলেন ইমাম। এ বিষয়ে ছেলে পক্ষের সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
যদিও, বিয়ের রাতে ছেলে পক্ষ জুলুসের ডিজে বাজিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছয়। ডিজের তালে নাচতে নাচতে নাচতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে যায়। প্রাথমিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনের পর যখন নিকাহের সময় হয়, তখন কাজী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মিছিলে ডিজে বাজানোর জন্য নিকাহ পড়াতে অস্বীকার করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অতঃপর কোনভাবে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিবাহের আয়োজন করা হয়, কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে তা না হয় সেজন্য ফতোয়া জারি করা হয় এবং কোন মুসলিম সমাজের লোকেরা তা লঙ্ঘন করলে শাস্তির বিধান করা হয়। কাজীদের মতে ডিজে হারাম। আর ইসলামে এটা অপব্যয়।