বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপিতে এখন চলছে Whatsapp বিদ্রোহ। একের পর এক বিজেপি নেতা, বিধায়করা দলীয় Whatsapp গ্রুপ ছেড়ে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছেন। একদিকে, যখন আগামী পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি, তখন আরেকদিকে দলীয় নেতাদের Whatsapp বিদ্রোহ তাঁদের মাথা ব্যথা বাড়িয়ে তুলছে।
এই Whatsapp বিদ্রোহের জনক হলেন বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পাওয়ার পরই তিনি বিজেপির Whatsapp গ্রুপ ত্যাগ করে সর্বপ্রথম জল্পনার সৃষ্টি করেছেন। এরপর মতুয়া গড়ের পাঁচ বিধায়ক, বাঁকুড়ার চার বিধায়ক, হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও একই ভাবে দলীয় Whatsapp গ্রুপ ছেড়ে জল্পনার সৃষ্টি করেছিলেন। আর এবার সেই তালিকায় নাম লেখান বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডাও।
এদিন তিনি আচমকাই বিজেপির যুব মোর্চার Whatsapp গ্রুপ ছেড়ে চারিদিকে জল্পনার সৃষ্টি করেছিলেন। যদিও, ওনার এই গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে তেমন ভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ডঃ ইন্দ্রনীল খাঁ-কে। তিনি বলেছিলেন যে, এখনও পর্যন্ত কোনও বিদ্রোহের খবর নেই। কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটা ঘটতে পারে। ইন্দ্রনীলবাবু এও বলেছিলেন যে, বর্তমানে তাঁরা করোনায় মানুষের সেবা করতে ব্যস্ত, তাই এদিকে নজর দেওয়ার সময় নেই।
এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং শঙ্কুদেব পাণ্ডা। তিনি জানান, ‘যুব মোর্চার একটা নিয়ম রয়েছে, ৩৫ বছরের বেশি কাউকেই এখানে রাখা যাবে না। খুব শীঘ্রই নতুন কমিটি গঠন হতে চলেছে। আর এইজন্যই গ্রুপ ছেড়েছিল। দলের তরফ থেকে আমাকে যেখানে দায়িত্ব দেবে, সেখানেই কাজ করব। এখানে জল্পনার কোনও জায়গাই নেই।” তিনি এও বলেন যে, যাদের ৩৫ বছরের বেশি বয়স হয়েছে, তাঁদের নিজে থেকেই জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।