বাংলাহান্ট ডেস্ক: মন্দির দর্শন করে বিশেষ শান্তি পান সারা আলি খান (sara ali khan)। ইতিবাচক শক্তির খোঁজে বারে বারে তিনি ছুটে যান কেদারনাথ, বদ্রিনাথ ধাম, কামরূপ কামাখ্যা বা মহাকালেশ্বর মন্দিরে। মাস খানেক আগেই ‘অতরঙ্গি রে’ ছবির মুক্তির আগে উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন সইফ অমৃতা কন্যা। আবারো শিবের ধামেই ছুটে গেলেন সারা। সঙ্গী হলেন মা অমৃতা।
ধবধবে সাদা চুড়িদার, মাথায় ওড়না দিয়ে শুভ্র বেশে ধরা দিলেন সারা। পাশে নীল চুড়িদারে অমৃতা সিং। মহাকালের মন্দিরের সামনে বসে লেন্সবন্দি হয়েছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মা ও মহাকাল’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘জয় মহাকাল’ এবং ‘জয় ভোলেনাথ’।
মন্দির দর্শনের পোস্ট শেয়ার করবেন সারা, আর তাতে বিতর্কিত মন্তব্য পড়বে না এমনটা এক রকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবিগুলি শেয়ার করা মাত্রই রে রে করে তেড়ে এসেছেন মৌলবাদীরা। অনেকে বুঝতেই পারছেন না সারার আসল ধর্মটা কী? তিনি আদৌ মুসলিম তো?
একজন সরাসরি হুমকি দিয়ে লিখেছেন, ‘নাম সারা আলি খান, এদিকে হিন্দু ধর্ম পালন করছে। লজ্জায় ডুবে মরা উচিত। কোরান পাকে এইসব মানুষদের জন্য দোজখ লেখা আছে।’ একজন পরামর্শ দিয়েছেন, মুসলিম নাম বদলে হিন্দু নাম নিয়ে কোনো হিন্দু যুবককে বিয়ে করে নিতে।
এই ধরনের কোনো মন্তব্য, হুমকির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না সারা। অভিনেত্রী জানান, যেখানেই তিনি ইতিবাচক শক্তি অনুভব করেন সেখানেই যান। সেটা মন্দির হোক বা মসজিদ হোক কিংবা গুরুদ্বারা। যদিও এর জন্য সমালোচনাও কম সইতে হয় না সারাকে, কিন্তু সে সবে বিশেষ পাত্তা দেন না তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শাহরুখ খান নিজের সন্তানদের গীতা, কোরান, বাইবেল তিনটি ধর্মগ্রন্থই পড়িয়েছেন। সারা নিজে মহাকাল মন্দির দর্শন করেছেন। কতটা ধার্মিক তিনি?
https://www.instagram.com/p/CYvb7WCvZop/?utm_medium=copy_link
সারা জানান, তিনি ধর্মের জন্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যের জন্য যান। তিনি শক্তির ভক্ত। সেটা মন্দির থেকেই পান, বা গুরুদ্বারা থেকে কিংবা শুটিং সেটে মানুষের মাঝে। ইতিবাচক শক্তি পছন্দ করেন সারা। তাই কখনো মন্দির, কখনো মসজিদ কখনো গুরুদ্বারায় ঢুঁ মারেন তিনি। অবশ্য মন্দির দর্শনের জন্য অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন সারাকে।