বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও মমতার বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের প্রতি অসৌজন্য দেখিয়েছে রাজ্য এবার এমনই অভিযোগ তাঁর।
গতকাল রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হতে হয় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে। কিন্তু কোনোরকম বাক্যালাপই করতে দেখা যায় নি রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধানকে। বরং রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী তার জবাব দেন তা বোঝা যায়নি। পুরো অনুষ্ঠানেই মুখ ফিরিয়ে বসেছিলেন তিনি।
আর এই ঘটনার পরই বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্য বনাম রাজ্যপালের বিনম্রতা। প্রোটোকল মানার ক্ষেত্রে অসৌজন্যের নজির গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। মাননীয় রাজ্যপালের করা কঠিন প্রশ্নগুলির জবাব না থাকাতেই কি এমনটা করা হল?’ রাজ্যের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়াই অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
Arrogance of @MamataOfficial vs Humility of @jdhankhar1 at Republic Day function. A new low in observance of protocol and propriety by Chief Minister Mamata Banerjee.
Is it because there are no answers to the tough questions asked by Hon'ble Governor? pic.twitter.com/juwO0mwcbJ— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 26, 2022
মঙ্গলবার জাতীয় ভোটার দিবসে বিধানসভার অনুষ্ঠানে যোগদান করেন রাজ্যপাল। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যকে তুলোধোনা করেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘এখানে সংবিধানের আইন নয় শাসকের আইন চলে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ, ভয়ানক। রাজ্যপাল হিসেবে আমি চিন্তিত। অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা রাজ্যের প্রশাসন যাতে সংবিধান মত চলে। আইন মেনে কাজ করে। কিন্তু সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের নিয়ম ভুলে গেছেন। সাংবিধানিক মর্যাদা ভুলে গেছেন।’ তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, ‘ রাজ্যপালের কাছে দায়বদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী, উপেক্ষা করে চলেছেন কেন? উনি জানেন না, রাজ্যপালের সাংবিধানিক এক্তিয়ার কতটা।’ তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনা বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
অন্যদিকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে মমতাকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তিনি মর্মাহত বলেই জনিয়েছেন অধীর। একের পর এক এহেন ঘটনার জেরে কার্যতই তীব্র শোরগোল রাজ্য জুড়ে।