বড়সড় ঝটকা খেলেন মুকেশ আম্বানি, সম্পদের নিরিখে এবার আম্বানিকে হারালেন এই ভারতীয় বিজনেসম্যান

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্পদের নিরিখে এবার আরও হাড্ডাহাড্ডি হল ভারতের অন্যতম দুই বিজনেস টাইকুনের প্রতিযোগিতা। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার বন্ধের পরে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিকে টপকে গেলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি।

পাশাপাশি, ফোর্বস পত্রিকার “রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ”-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের একাদশ তম ধনীর জায়গাটিও পাকা করে নিয়েছেন আদানি। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭২ লাখ কোটি টাকা)। সেখানে আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমান ৮৯.৪ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭১ লাখ কোটি টাকা)।

যার ফলে এই পরিসংখ্যানের নিরিখে মোট সম্পদের বিচারে বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে গৌতম আদানি এবং মুকেশ আম্বানি। সম্প্রতি শেয়ার বাজারে পতন হলেও আদানি গ্রুপ খুব একটা ধাক্কা খায়নি। তাতেই এই বিরাট উত্থান বলে মনে করা হয়েছে। এর পরে প্রথম পাঁচে রয়েছেন যথাক্রমে শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরেও এক বার আম্বানিকে টপকে যায় আদানির মোট সম্পদের মূল্য। সেই সময়ের হিসাবে জানা গিয়েছিল যে, আগের দু’বছরে আদানির সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ। যেখানে, মুকেশের সম্পদ বেড়েছিল প্রায় ২৫০ শতাংশ।

আদানি গ্রুপ মূলত বন্দর সংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হলেও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার শাখা বিস্তার করেছে। পাশাপাশি, চলতি মাসেই গুজরাটে আদানি গোষ্ঠী ইস্পাত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা “পস্কো’র সঙ্গে চুক্তি করেছে। যেখানে লগ্নি হতে পারে প্রায় ৩৭,৫০০ কোটি টাকা।

gautam adani mukesh ambani

যদিও, গুজরাটেই বড় মাপের বিনিয়োগ করতে চলেছেন মুকেশ আম্বানিও। সেখানে ইতিমধ্যেই মোট ৫.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের জন্য সমঝোতাপত্র সই করেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। ১০০ গিগাওয়াটের অপ্রচলিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং হাইড্রোজেন শক্তি উৎপাদন সংক্রান্ত ব্যবস্থা গড়তে তারা বিনিয়োগ করবে ৫ লক্ষ কোটি টাকা।

তবে, এখন বিশ্বের সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক হলেন ফ্রান্সিসকো বেটনকোর্ট মেয়ার্স। তাঁর সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৮২.৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও, তাঁর থেকেও ধনী ভারতের এই দুই বিজনেস টাইকুন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর