বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাঝের মাঝামাঝিই আবার ভারি বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে রাজ্য। ভাসতে পারে বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন্স ডে সরস্বতী পুজোও। আজ বিকেলে জারি করা সতর্কবার্তায় এমনটিই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
প্রবেশ করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে, একই সঙ্গে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার জেরেই আগামী ৩ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্য জুড়ে। বৃষ্টি হতে পারে সরস্বতী পুজোর দিনও। তবে ৫ তারিখ থেকে আস্তে আস্তে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। বৃষ্টি কমার পর থেকেই ৩-৫° বাড়বে তাপমাত্রা।
ধসের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ৪ তারিখ তা আরও বেড়ে ভারি বৃষ্টির আকার ধারণ করবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার বেশ কিছু জায়গায় ধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টি শুরু হবে ৩ তারিখ থেকেই। তবে ৩ তারিখ পুরুলিয়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান,বাঁকুড়া, মূর্শিদাবাদ এই জেলাগুলিতেই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৪ তারিখ থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই। একই সঙ্গে ৪ ফেব্রুয়ারি এই জেলাগুলিতে প্রবল বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
সরস্বতী পুজোতে ভিজবে কলকাতাও
বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে ছাড় পাবে না রাজধানী কলকাতাও। ৩ তারিখ থেকে মেঘলা থাকার পর ৪ তারিখ থেকে শহর কলকাতাতেও শুরু হবে বৃষ্টি। মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। ৫ তারিখ সকাল থেকেও চলবে হালকা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বিকেলের দিকে আস্তে আস্তে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। আপাতত দুদিন শুকনো থাকবে আবহাওয়া। তবে সকালের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে শহরের আকাশ।
বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
মাঘের বৃষ্টিতে খুব একটা অভ্যস্ত নয় রাজ্যবাসী। ফলে এই অকাল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে সবাইকেই। বিপুল ক্ষতি হতে পারে কৃষিতে। একই সঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ধসের ফলে প্রভূত ক্ষতি হতে পারে মানুষজন এবং রাস্তাঘাটের। প্রবল বজ্রপাতে থাকছে প্রাণহানির আশঙ্কাও।
আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা বার্তা
চাষিদের মাঠে থাকা ফসল যথাসম্ভব খামারে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। যে সমস্ত ফসল কাটার সময় হয়্র গিয়েছে সময়ের আগেই কেটে ফেলতে হবে সেগুলি। এছাড়াও গাছে কীটনাশক এবং সার প্রয়োগ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। আপাতত আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জলসেচেও বারণ করা হয়েছে কৃষকদের। এছাড়াও বজ্রপাত চলাকালিন ফাঁকা স্থানে বা কোনো উঁচু গাছের তলায় না থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা। ভারি বৃষ্টির সময় বাড়ির ভিতরে নিরাপদ স্থানে থাকার অনুরোধই জানানো হয়েছে সবাইকে।