বাংলাহান্ট ডেস্ক: সঙ্গীতের জগতে ইন্দ্রপতন হয়েছে রবিবার, এটা বললে এতটুকু অত্যুক্তি হয় না। এদিন প্রয়াত হয়েছেন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। চির বিদায় নিয়ে সুরলোকে যাত্রা করেছেন সরস্বতীর আশীর্বাদধন্যা। কিন্তু এই খারাপ খবর এখনো জানেন না গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (sandhya mukhopadhyay)। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাই এখনো এই দুঃসংবাদ জানানো হয়নি গীতশ্রীকে।
৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর থেকে মাত্র দু বছরের ছোট সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দুজনেই। মৃত্যুর আগে করোনা মুক্ত হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতা কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ।
অপরদিকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ও ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তিনিও এখন ওমিক্রন মুক্ত। তবে আশঙ্কা কাটেনি এখনো। তাই তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের দুঃসংবাদটা জানানো হয়নি তাঁকে। কারণ এই খারাপ খবর সামলে ওঠার মতো শক্তি নাও পেতে পারেন গীতশ্রী।
লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। মুম্বইয়ে গীতশ্রীর কেরিয়ারের শুরুর সময় থেকেই সুরসম্রাজ্ঞীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও বন্ধুত্ব। যদিও মাঝে দুজনের প্রতিযোগিতার গুঞ্জন শোনা গেলেও লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের রসিকতাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় সবটা আসলে গুজব। শুধুই নির্ভেজাল আড্ডা নয়, বাঙালি গায়িকার মায়ের হাতের রান্না খেতেও নাকি ভালবাসতেন লতা।
গত ২৩ জানুয়ারি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়পাধ্যায়। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা জানান গায়িকা। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে জ্বর। হয়েছে আরটিপিসিআর পরীক্ষা।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গ্রিন করিডর করে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সে সময়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। উডবার্ন ব্লকে রাখা হয়েছে গায়িকাকে। চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডুর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।