বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) ও নুসরত জাহান (Nusrat Jahan), টলিউডের এই দুই প্রথম সারির অভিনেত্রীর বন্ধুত্ব এক সময় চর্চার অন্যতম বিষয় ছিল। নায়িকারা যে বন্ধু হতে পারেন না, সেই ধারনা ভেঙে দিয়েছিলেন নুসরত মিমি। একে অপরকে ‘বোনুয়া’ বলে ডাকতেন তাঁরা। তবে এখন আর আগের মতো গলায় গলায় ভাব দেখা যায়না তাঁদের।
মূলত যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের ঘনিষ্ঠতার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন মিমি। বন্ধুত্বটা এখনো আছে ঠিকই, কিন্তু দুই বোনুয়ার মধ্যে হালকা ফাটলটা যথেষ্ট স্পষ্ট। উপরন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে এখন একাধিক ‘বোনিলা’ পাতিয়েছেন নুসরত। অদ্ভূত ভাবে তাঁর ইউটিউব টক শোয়ের অনুষ্ঠানে ঋতাভরী, তনুশ্রী আসলেও ডাকা হয়নি মিমিকে।
টলিউডে ‘সাহসিকতা’র অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন নুসরত। ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ককে নিয়ে এসেছেষ খোলা মঞ্চে। এক সময়ের ‘বোনুয়া’র মতো তেমন ‘বোল্ড’ কি কখনো হতে পারে পারবেন মিমি? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাংসদ অভিনেত্রী বলেন, দুজনের মধ্যে তুলনা না টানাই ভাল।
মিমির স্পষ্ট কথা, “আমি ও নুসরত দুজনে আলাদা মানুষ। আমরা বন্ধু। নুসরত ওর ব্যক্তিগত জীবনে কী করবে না করবে সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ওর। আমার ক্ষেত্রেও তাই। এই বিষয়ে তাই দুজনের তুলনা না করাই ভাল।” নুসরত তাঁর জীবনে একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। অভিনয় বা রাজনৈতিক কেরিয়ারের তোয়াক্কা করেননি।
কিন্তু মিমির বক্তব্য, তাঁকে প্রতিটা পদক্ষেপই ভেবেচিন্তে নিতে হয়। তিনি একজন অভিনেত্রী, পাশাপাশি সাংসদও। তাই কিছু বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। মিমি জানান, তাঁর কাছে পরিবারের পরেই আসে কাজ। তাই যতদিন পারবেন মনপ্রাণ দিয়ে কাজটা করে যেতে চান। তেমনি আর পাঁচজনের মতো তাঁর নিজস্ব কিছু লড়াই আছে। সেগুলো তাঁকেই লড়তে হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দেন মিমি।
এর আগে বরাবরের মতোই নুসরতের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন এক সময়কার ‘বোনুয়া’ মিমি চক্রবর্তী। দুজনের একসঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবির কোলাজ বানিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘তোমার জন্য অনেক আনন্দ ও প্রাচুর্য প্রার্থনা করি। শুভ জন্মদিন।’ ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি নুসরত। কিন্তু এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে আগের সেই উচ্ছ্বাস, উষ্ণতার অনেকটাই যেন অমিল দেখা গিয়েছিল।