বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুঃস্বপ্ন সত্যি হল। প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। ১৫ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অতি সম্প্রতি জানা যায়, অবস্থার অবনতি হয়েছে তাঁর। আবারো আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা করা গেল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন গীতশ্রী।
বাংলা সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন টুইট করে এই দুঃসংবাদ জানান। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাঁর রক্তচাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে। পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও রয়েছে বর্ষীয়ান গায়িকার।
সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি আবারো আইসিইউতে ঢোকানো হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেসোপ্রেসার রিপোর্টে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বর্ষীয়ান গায়িকা। উল্লেখ্য, পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
গত ২৩ জানুয়ারি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়পাধ্যায়পাধ্যায়পাধ্যায়। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা জানান গায়িকা। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। ছিল জ্বর। আরটিপিসিআর পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গ্রিন করিডর করে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সে সময়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। উডবার্ন ব্লকে রাখা হয়েছে গায়িকাকে। চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডুর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন যে করোনা মুক্ত গায়িকা। কিন্তু শেষরক্ষা করা গেল না।