বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের ওপেনার লোকেশ রাহুল একটি চিত্তজয়ী কাজ করেছেন। ভারাদ নালওয়াদে নামক এক অসহায় ক্ষুদে, যিনি একটি বিরল রক্তের অসুস্থতার সাথে লড়াই করতে রাহুল সাহায্য করছেন। ভারাদের বর্তমানে জরুরীভাবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) করা প্রয়োজন। রাহুল ১১ বছর বয়সী ভারাদের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৫ লক্ষের মধ্যে ৩১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। ডিসেম্বরে, ভারাদের বাবা-মা সচিন নালওয়াদে এবং স্বপ্না ঝা তাদের ছেলের চিকিৎসার জন্য এনজিও গিভ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ৩৫ লাখ সংগ্রহ করার জন্য একটি বিশেষ প্রচার শুরু করেছিলেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে, পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রটি অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামক রক্তের একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে মুম্বাইয়ের জাসলোক হাসপাতালে একজন হেমাটোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে ছিল। ভারাদের রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা এতটাই কম হয়ে গিয়েছিল যে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অক্ষম করে তুলেছিল। এমনকি একটি সাধারণ জ্বর যা একটি স্বাভাবিক মানুষের সেরে উঠতে ২-৩ দিন লাগে, তা ভারাদের ক্ষেত্রে কয়েক মাস সময় লাগত। ভারাদের অবস্থার একমাত্র স্থায়ী চিকিৎসা ছিল বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট।
ভারাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে চিকিৎসার জন্য অর্থের অভাব ছিল। এমনকি তার বাবা তার ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে তার ছেলের চিকিৎসায় পিএফের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে তিনি ছেলের একাদশ তম জন্মদিনে একটি সুন্দর ক্রিকেট ব্যাটও কিনে দিয়েছিলেন।
এই অনুদান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘আমি যখন ভারাদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি, তখন আমার দল গিভ ইন্ডিয়া তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। আমি খুশি যে ওর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। ভারদের মা স্বপ্না হাত জোড় করে কৃতজ্ঞ গলায় বলেছেন, ‘ভারাদের অস্ত্রোপচারের জন্য এত বড় অঙ্কের অনুদান দেওয়ার জন্য আমরা লোকেশ রাহুলের কাছে কৃতজ্ঞ। এত অল্প সময়ে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা অসম্ভব ছিল যদি না উনি সাহায্য করতেন। ধন্যবাদ, রাহুল।”