বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে বিনোদন জগতে নেপোটিজম (Nepotism) নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বিভিন্ন মহল। বলিউডের পাশাপাশি টলিউডেও স্বজনপোষন প্রসঙ্গ উঠেছিল। নাম উঠে এসেছিল নামী পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর (Anjan Chowdhury) দুই মেয়ে চুমকি চৌধুরী (Chumki Chowdhury) ও রীনা চৌধুরীরও (Rina Chowdhury)। রীনা স্বীকার করেছিলেন বটে, অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে হওয়াতেই টলিউডে জায়গা পেয়েছেন তিনি। তবে তাঁদের পরিবারে নেপোটিজম ছিল না।
টলিউডে অত্যন্ত পরিচিত নাম অঞ্জন চৌধুরী। নিজের দুই মেয়েকে যেমন তিনি লঞ্চ করেছিলেন, তেমনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালের মতো অভিনেতাদেরও নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বড়পর্দার পর ছোটপর্দাতেও বেশ কিছু কাজ করেছেন চুমকি চৌধুরী। কিন্তু দেখা মেলেনি রীনার।
তিনি জানান, অঞ্জন চৌধুরী যে শুধু নিজের মেয়েদের উপরেই পক্ষপাতিত্ব করেছেন এমনটা নয়। তাঁর হাত ধরে আরো বহু অভিনেত্রী জায়গা পেয়েছে টলিউডে। চুমকি রীনার টলিউডে প্রবেশকে যদি নেপোটিজমের তকমাই দেওয়া হয়, তবে তাঁদেরই ভাই ছোটপর্দার পরিচালক প্রযোজক সন্দীপ চৌধুরীর সিরিয়ালে তাঁরা নেই কেন?
টলিউডে স্বজনপোষন প্রসঙ্গে একাধিক বার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। কিন্তু চুমকি জানান, তাঁদের সঙ্গে প্রসেনজিৎ ও তাপস পালের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল ছিল। খুনসুটিও চলত সেটে। স্মৃতি হাতড়ে চুমকি জানান, দুই নায়ক যখন একসঙ্গে গল্প করতেন তখন সেখানে জায়গা হত না চুমকি রীনার। দুই বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে মজা করে প্রসেনজিৎ বলতেন, এসব গল্প তাঁদের শুনতে হবে না।
আরো একটি ঘটনার কথা জানান রীনা। কোনো দোকানেই নাকি এক সময় অঞ্জন চৌধুরীর ছবির ক্যাসেট পাওয়া যেত না। এক দোকানদার এই দাবি করেছিলেন, অনেক নামীদামী পরিচালকই অঞ্জন চৌধুরীর ছবির ক্যাসেট নিয়ে যান। সেই ছবির নকল বানিয়ে সাফল্য পেয়েছেন এমন পরিচালকের সংখ্যাও কম নয়।
যদিও সেই পরিচালকদের নাম কখনো জানতে চাননি চুমকি রীনা। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ‘একান্নবর্তী’ ছবিতে অঞ্জন চৌধুরীকে বিদ্রুপ করে একটি সংলাপ শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৈনাকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন চুমকি রীনা।