নাগরদোলায় উঠেই “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি” অবস্থা যুবকের! ভাইরাল ভিডিও দেখে হাসির রোল সর্বত্র

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মেলা মানেই আমাদের কাছে এক মিলনক্ষেত্র! বন্ধুদের সাথে তুমুল হইচই, ঘুরে বেড়ানো এবং দেদার খাওয়াদাওয়াতে পূর্ণতা পায় মেলাগুলির আসর। পাশাপাশি, প্রতিটি মেলাতেই এই চিত্র অত্যন্ত স্বাভাবিক। তবে, এগুলির মধ্যেও মেলাতে আসা বিভিন্ন উপকরণ, যেমন নাগরদোলা, নৌকো, টয় ট্রেন ইত্যাদিতে চড়তেও পছন্দ করেন অধিকাংশ মানুষ।

নিজের প্রিয়জনদের সাথেই হোক কিংবা বন্ধুদের সাথে, মনোরঞ্জনের জন্য এগুলি বেশ আকৃষ্ট করে সকলকে। তবে, বিভিন্ন সময়েই এই সংক্রান্ত মজাদার সব ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা যায় কিছু মানুষের নাগরদোলায় চড়ে রীতিমত কালঘাম ছুটছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের ওই অবস্থায় দেখলে মনে হয়, যে কোনো মূল্যেই সেখান থেকে নেমে পড়লেই যেন প্রাণ ফিরে পাবেন তাঁরা।

   

সম্প্রতি ঠিক এইরকমই একটি ভিডিও ফের ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। আর তাতে যা দেখা গিয়েছে তাতে কার্যত এই সংক্রান্ত সমস্ত ভাইরাল ভিডিওকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে এটি। এমনিতেই আমরা জানি যে, বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া এমনই একটি মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাল ভিডিও ভিড় করে থাকে। পাশাপাশি, সেগুলিকে দেখতেও পছন্দ করেন সবাই।

তবে, তাদের মধ্যে কিছু কিছু এমন ভিডিও থাকে যেগুলি দেখে চরম হাসির রোল পড়ে নেটমাধ্যমে। বর্তমানে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিও ঠিক সেই ক্যাটাগরিতেই পড়েছে। যেখানে নাগরদোলায় উঠে প্রাণান্তকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এক যুবকের।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, বন্ধুর সাথে মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় উঠেছিলেন এক যুবক। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। নাগরদোলা ঘোরা শুরু করতেই চিৎকার শুরু করে দেন যুবকটি। পাশাপাশি, তিনি বন্ধও করতে বলেন সেটি। বারংবার তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার কথাও বলতে থাকেন ওই যুবক। কিন্তু, ততক্ষনে পূর্ণ গতিতে ঘুরতে শুরু করে নাগরদোলাটি।

রীতিমত প্রাণের ভয়ে তীব্র চিৎকারের মাধ্যমে দরদর করে ঘামতেও থাকেন ভিডিওতে থাকা যুবকটি। এমনকি, কার্যত অসহায় হয়ে তিনি বলতে থাকেন, “আমার শরীর খারাপ লাগছে। আমি মরতে চাইনা, বাঁচতে চাই।” পাশাপাশি নিজস্ব ভঙ্গিতে ওই যুবকটি এও জানান যে, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কথাও শুনবেন, এবং এভাবে ঘুরলে তার হয়তো স্ট্রোকও হয়ে যাবে! এদিকে, মোট ৪ মিনিট ১ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিই ফেসবুকে দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটমাধ্যমে।

ওই যুবকের অবস্থা দেখে এবং তাঁর কথা শুনে অধিকাংশ মানুষই হাসির রিঅ্যাক্ট দিলেও অনেকেই আবার তাঁর এই অবস্থা দেখে দুঃখও পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাইক এবং কমেন্টের সংখ্যাও। এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর