বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কর্ণাটকের বোরখা-হিজাব বিতর্ক কমার নামই নিচ্ছে না। বিতর্কের সূত্রপাত কর্ণাটকের একটি স্কুল থেকে হয় যেই হিজাব বিতর্ক বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কর্ণাটকের কুন্দাপুরের ভান্ডারকর কলেজে 20 টিরও বেশি ছাত্রীকে হিজাব পড়ে আসার কারণে কলেজে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয় সারা দেশ। এবার একই ঘটনা ঘটলো উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ডিগ্রি কলেজে।
উত্তরপ্রদেশের কলেজে হিজাব পড়ে আসে কিছু ছাত্রী আর তাই তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শনিবার হিজাব পড়া মুসলিম মেয়েদের কলেজে ঢুকতে না দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে তারা বাড়ি ফিরে আসে।বিএসসির শেষ বর্ষের এক ছাত্রী জানায়, কলেজে ঢোকার সময় তিনি বোরখা পড়েছিলেন, যা কলেজ প্রশাসন খুলতে বলে সঙ্গে পরিহিত তার হিজাবও খুলে ফেলতে বলা হয়। ওই ছাত্রী হিজাব ছাড়া কোথাও যাবেন না বলে জানায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এক ছাত্রী হিজাব পড়ে ক্লাসে আসলে তাকে নকল করে এক ছাত্র গেরুয়া স্কার্ফ পরে ক্লাসে আসে। এই ব্যাপারটি কলেজ প্রশাসনের নজরে এলে পরদিনই ড্রেস কোড নিয়ে কঠোরতা দেখায় তারা।
কলেজের এক আধিকারিক বলেন, কলেজের একটি ড্রেস কোড রয়েছে এবং সবাইকে তা অনুসরণ করতে হবে। কলেজের অপর আধিকারিক জানান, শিক্ষার্থীদের কলেজের নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং ড্রেস কোড আরো গুরুত্বের সাথে মানতে হবে।