তৃণমূলের বহু পঞ্চায়েত সদস্য সারাদিন টাকা তোলে! গুরুতর অভিযোগ দলীয় জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঝামেলা আর বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না রাজ্যের শাসকদল তৃনমূলের (All India Trinamool Congress) । কখনও পুরো ভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব, কখনও আবার ভোটের পর পদ না পাওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাদের ক্ষোভ। এবার এক তৃণমূল নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আবারও তুমুল শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। ভাইরালও হয়েছে ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ।

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় দলীয় এক কর্মীসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিতর্কিত মন্তব্য করে আপাতত শিরোনামে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস। এদিন ওই বৈঠকে দলের কর্মীদের উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যারা নেতা হয়েছে, তারা কীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, সবাই জানি। কেউ বাইকে, কেউ হেঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু টাকা কোথা থেকে আসে? ভোটের পর চেয়ারে বসে নিজেরাই নিজেদের এক একটা দল বলে ভাবছে।’

তাঁর এহেন ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। তৃণমূল নেতার এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে যায় দল। দলের উচ্চ স্তরের নেতৃত্বের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, যদি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই থাকে তাহলে সেই সমস্ত কিছুই জেলাস্তরের বৈঠকে জানাতে পারতেন সমীর বিশ্বাস। তা না করে এহেন সর্বসমক্ষে কেন? এর জবাবও অবশ্য দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, ‘সুখ দুঃখের কথা দলের বৈঠকেই বলেছি। বাইরে তো কোথাও বলিনি।

mamata didi sad

তা যদি কেউ রেকর্ড করে সর্বসমক্ষে সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দেয় তা অন্যায় হয়েছে। আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি কারা এই কাজ করেছে। তাদের নিশ্চিতভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, অন্য দলের কর্মীরা তৃণমূল সেজে ভাইরাল করছে এ ধরণের ভিডিওগুলি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবারও দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় বনগাঁর কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায়কে। তাঁর অভিযোগ ছিল টাকা নিয়ে পদ দেয় তৃণমূল। কৃষ্ণা দেবী বলেন, ‘টাকা দিলেই এই দলে সব পদ পাওয়া যায়। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান হতে গেলে টাকা ফেলতেই হবে।

আমরা পয়সা দিয়ে টিকিট কিনতে পারব না। দল আমাদের টিকিট দিয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি মানুষের মধ্যে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু টাকা নিয়ে দৌড়দৌড়ি করতে পারি না বলেই আমাদের কোনও পদ জোটে না।’ একই সঙ্গে চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণা দেবী বলেন, ‘যারা নীচু পদের দাবিদার তারা দলের উচ্চ পদ উপভোগ করছে। এটা সত্যিই লজ্জার।’


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর