বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারে সমগ্র দেশজুড়েই অনেকের টাকা আটকে রয়েছে। তবে, এবার সাহারা ইন্ডিয়ার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সরকার ভীষণ ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যে কারণে কিছুটা হলেও হতাশামুক্ত হতে পারবেন গ্রাহকেরা। জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই সাহারা ইন্ডিয়াতে বিনিয়োগ করেছেন এমন গ্রাহকদের জন্য সরকারের অর্থ বিভাগ একটি হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে।
শুধু তাই নয়, সাহারা ছাড়াও এই হেল্পলাইন নম্বরে অন্যান্য নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থা এবং কর্পোরেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড সরকারের অর্থ বিভাগ নন-ব্যাঙ্কিং কোম্পানি এবং কর্পোরেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য একটি পুলিশি হেল্পলাইন নম্বর ১১২ জারি করেছে।
এর অধীনে যারা সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারে টাকা জমা রেখেছেন এবং এখন অভিযোগ করতে চান, তাঁরা এই হেল্পলাইন নম্বরে কল করে এর সুবিধা নিতে পারেন। জানা গিয়েছে যে, সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ, সিআইডি (ইকোনমিক অফেন্সেস উইং, ঝাড়খণ্ড)-এর সাথে এই অভিযোগটি তদন্ত করবে এবং তারপর তা সমাধানের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাহারা ইন্ডিয়ায় আটকে রয়েছে দেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা। গত ১০ মার্চ, ঝাড়খণ্ড সরকারের বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে, বিধায়ক নবীন জয়সওয়াল বলেছিলেন যে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাদের প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলিতে আটকা পড়ে রয়েছে।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছিলেন যে, প্রায় তিন লক্ষ মানুষ এখনও তাঁদের প্রাপ্য অর্থ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। তাই সরকারের উচিত একটি হেল্পলাইন নম্বর জারি করা। মূলত এই হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে, কার কত টাকা এখনও আটকে রয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছিলেন বিধায়ক।
পাশাপাশি, নবীন জয়সওয়াল আরও বলেছিলেন যে, সাহারায় কর্মরত ৬০ হাজার মানুষ এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। এই মানুষদের অবস্থা এখন এমন হয়ে গেছে যে, যে কোনো মুহূর্তেই তাঁদের জীবনও যেতে পারে। এর পরে অর্থমন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ স্বীকার করেছিলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষের বিপুল টাকা সাহারায় আটকে রয়েছে। আর এতে আটকে থাকা অর্থ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত সকলেই।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে, সাহারা একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি যা সেবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ইতিমধ্যেই সেবি ও সাহারা প্রধানকে অর্থ দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাহারার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সরকার তা খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট বিভাগ এটি সংশোধন করার জন্য সবরকম চেষ্টা করবে বলেও জানানো হয়েছে।