বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় ঘটে চলেছে একাধিক সন্ত্রাস, দুর্নীতির ঘটনা। সেই সমস্ত ঘটনার অধিকাংশেই নাম জড়াচ্ছে জেলা স্তরের তৃণমূল নেতৃত্বের। মূলত পঞ্চায়েত স্তরে শাসকদলের একশ্রেণির নেতাদের দৌরাত্ম্য এবং স্বেচ্ছাচার কী পর্যায়ে পৌঁছেছে বগটুই কাণ্ডের পর কার্যতই মাত্রাতিরিক্ত প্রকট হয়ে সামনে এসেছে তা। কিন্তু ব্যতিক্রম সব জায়গাতেই উপস্থিত। ঠিক সেরকমই ব্যতিক্রমী এক নেত্রী সীমা চৌধুরী।
ডুয়ার্সের বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তিনি। কিন্তু সভাপতির কাজের পাশাপাশি নিয়ম করে ঝাঁট দিতে দেখা যায় নিজের দপ্তর। সব পরিষ্কার করে তারপরই নিজের কাজে হাত দেন তিনি।
মাত্র বছর খানেক আগে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ধূপগুড়ি ব্লককে ভেঙে বানারহাট ব্লক তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই গত বছর ডিসেম্বরে ওই ব্লকে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন সীমা চৌধুরী। ব্লক তৈরি হলেও এখনও কর আদায় শুরু করেনি পঞ্চায়েত। ফলে সেভাবে কর্মচারী রাখা সম্ভব হচ্ছে না দপ্তরের জন্য। সেই কারণেই দপ্তরে এসে আগে নিজেই ঝাঁট দেন সভাপতি। সব পরিষ্কার করে তারপর শুরু করেন সভাপতির কাজ।
ডুয়ার্সের দেব পাড়া চা বাগানে জন্মেছিলেন সীমা দেবী। কার্যতই এলাকার ঘরের মেয়ে তিনি। স্থানীয়দের দাবি ছোটো থেকেই পরোপকারী সীমা। দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্ত তৃণমূলের সঙ্গে। এককালে ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের দায়িত্বে থেকে বেশ কিছু পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরেছিলেন এলাকার এই ডানপিটে মেয়ে। এখন ব্লক সভাপতি হলেও সেই কাজও চলে সমান তালেই।
কিন্তু এই দপ্তর ঝাঁট দেওয়া নিয়ে কী বলেছেন ওই নেত্রী? সীমা চৌধুরীর কথায়, ‘ছোটও থেকে নিজের বাড়ির সব কাজই করতাম। বিয়ের পরও সেই বাড়িও আমিই পরিষ্কার করি। এখন দপ্তরটাও তো আমার একটা বাড়ি। তাহলে সেটা পরিষ্কার করতে সমস্যা কোথায়? দিদি যেদিন সুবিধা হবে সেদিনই লোক পাঠাবে।’