নজরে “শিখ গণহত্যা”, কাশ্মীর ফাইলস’-এর পর এবার দিল্লি ফাইলস বানাবেন বিবেক অগ্নিহোত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বলিউড পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” ইতিমধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। পাশাপাশি, বক্স অফিসেও আয়ের নিরিখে একের পর এক রেকর্ড তৈরি করেছে এই ছবি। এক কথায়, সিনেমাটিকে ঘিরে কার্যত উন্মাদনা তৈরি হয়েছে সমগ্র দেশের সিনেপ্রেমীদের মধ্যেই। তবে, এবার “দ্য কাশ্মীর ফাইলস”-এর আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর পরবর্তী ছবি তৈরির প্রস্তুতি শুরু করলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, তাঁর পরবর্তী ছবিটির নাম হবে “দ্য দিল্লি ফাইলস”। এই প্রসঙ্গে ১৫ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার সকালেই টুইট করে ছবিটির ঘোষণা করেছেন তিনি। টুইটের মাধ্যমে পরিচালক লিখেছেন “এখন সময় এসেছে যখন আমার অন্য ছবিতে কাজ করা উচিত।”

পরিচালকের বড় ঘোষণা:
পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী টুইটে হাতজড়ো অবস্থায় নমস্কারের ভঙ্গিমায় নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন। এর সাথে তিনি লেখেন যে, “আমি সেই সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যাঁরা “দ্য কাশ্মীর ফাইলস”-কে ভালবাসা দিয়েছেন। গত ৪ বছর ধরে আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে ছবিটি নির্মাণ করেছি।” তিনি আরও লিখেছেন যে, “কাশ্মীরি হিন্দুদের প্রতি গণহত্যা এবং অবিচার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এখন আমার নতুন ছবিতে কাজ করার সময় এসেছে।”

এখন তৈরি হবে “দিল্লি ফাইলস”:
আরও একটি টুইটের মাধ্যমে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন, পরবর্তী ছবিটির নাম হতে চলেছে “দ্য দিল্লি ফাইলস”। ছবির নাম শুনেই মনে করা হচ্ছে যে, দিল্লির অপরাধকে কেন্দ্র করেই গল্প তৈরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই পরিচালক ছবিটির একটি ঝলক শেয়ার করেছেন, যার পোস্টার লাল-কালো রঙে ফুটে উঠেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত ছবিটি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।

কাশ্মীর ফাইল বাম্পার উপার্জন করেছে:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় গত ১১ মার্চ। ছবিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের চরম দুর্দশার প্রসঙ্গ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ২৫ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই ছবিটি ইতিমধ্যেই আয় করেছে ২৫০ কোটি টাকা। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার এবং পল্লবী যোশীর মত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর