বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাত বাংলায় নতুন কিছুই নয়। কিন্তু এবার খোদ রাজ্যপালকে সটান ‘দাদু’ বলেই ডেকে বসলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের আবাসন ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী। ‘দাদু ফাইল আটকে রেখেছেন’ বলেই নাকি হাওড়া পুরসভা নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি, এদিন এমনটাই দাবি করতে শোনা গেল তৃণমূল নেতাকে।
রবিবার হাওড়ার সালকিয়ায় একটি তৃণমূলের কর্মী সভায় যোগ দেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই হাওড়ার পুরভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুরসভায় যা কাজ হয়েছে তাতে এমনিই জিতে যাবে দল। কিন্তু ওই দাদুটা রয়েছেন। উনি আটকে রেখেছেন। রাজভবনে আমিও দু’তিন বার গিয়েছি। এখন বলছেন, তুম আও। আমি নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করে যাব। গেলে হয়তো ওটা ছেড়ে দেবেন। কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। দাদু আটকে রেখেছেন। না হলে কলকাতার সঙ্গেই ভোট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।’
২০১৮ সালেই মেয়াদ ফুরোয় হাওড়া পুরসভার পুরবোর্ডের। তারপর থেকে একাধিকবার বসানো হয় প্রশাসকমণ্ডলী। সম্প্রতি রাজ্য সরকার হাওড়া পুরসভা থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করে দিয়েছে। এই বিল পেশ হয়ে গিয়েছে বিধানসভাতেও। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ সেই ফাইল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। সেই কারণেই করানো সম্ভব হচ্ছে না হাওড়া ও বালি পুরসভার পুরভোট।
উল্লেখ্য, এদিন চব্বিশের লোকসভা ভোট প্রসঙ্গেও কর্মীদের সচেতন করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘২০২৪ এও খেলা হবে। এই যে ১৮টি আসন বিজেপি পেয়েছে আর একটি আসনও পাবে না। আমরা এগিয়ে যাবই। মানুষ কী চাইছেন, তার রিপোর্ট তৈরি করে আমরা নেত্রীকে দেব। সেই অনুযায়ী আমাদের লড়াই এখনই শুরু করতে হবে।’প্রসঙ্গত, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়রের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও কোনওই প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের তরফে।