বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাসির খোরক হলো তৃণমূল। ফের একবার নিজেদের মধ্যে বিবাদের কারণে দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করলো রাজ্য, তবে এবার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণটা ছিল অভিনব। এক সেলুনে চুল কাটানোর পরে চুলে রঙ কড়েছিল এক যুবক। তার চুল দেখে তাকে কটূক্তি করেছিল পাড়ারই কয়েকজন। তার থেকেই বচসার সূত্রপাত। গোলমাল জোরদার হতেই গত ৪-৫ বছরের রীতি মেনে সেই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দুই শিবির। তাদের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডোমজুড়ের সলপ-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ডাঁসি এলাকা এবং শেষপর্যন্ত সেই ঝামেলায় জখম হয়েছেন জনা তিনেক।
পুলিশ খবর পেয়ে ঝামেলা মেটাতে গেলে পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। সেখানকার তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মেহেরান বেগম সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন কল্যাণ ঘোষের দিকে, যিনি তৃণমূলেরই বিধায়ক তথা তাদের হাওড়া সদরের সভাপতিও। মেহেরান বেগমের অভিযোগ অভিযোগ, পাড়ার একটা ছোট গোলমাল হওয়ার সুযোগ নিয়ে বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের অনুগামীরা তাঁদের বাড়িতে বেপরোয়া হামলা চালায়। তাঁর দেওর ও ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
মেহেরান দাবি করেন, “আমি তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হিসাবে যোগদান করেছি প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় থেকে। কিন্তু যেদিন থেকে কল্যাণ ঘোষ এলাকার বিধায়ক হয়েছেন সেদিন থেকে আমাদের ওপরই তার অনুগামীরা হামলা চালানো শুরু করে।” কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এলাকার বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের দাবি, এটা একটি পারিবারিক অশান্তি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
কল্যাণ ঘোষ আরও বলেছেন যে, “ওই পঞ্চায়েত সদস্য গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন। তাঁদের মুখে ক্ষমতার অপব্যবহারের তত্ত্ব মানায় না। ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামী এলাকায় বেআইনিভাবে জলের সংযোগ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা লুঠ করেছিল। আর এখন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। ”