শুক্রবারের কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেল ১৭১০ কোটি টাকার নির্মীয়মাণ ব্রিজ! অবাক সকলেই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই গত শুক্রবার গভীর রাতে বিহারের ভাগলপুর ও খগড়িয়াকে সংযুক্তকারী চার লেনের নির্মীয়মান সেতুর সুপার স্ট্রাকচার ভেঙে পড়ল। জানা গিয়েছে সুলতানগঞ্জের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর খুঁটির মধ্যবর্তী অংশে ঢালাইয়ের জন্য নির্মিত সুপার স্ট্রাকচারটি ভেঙে পড়েছে। এদিকে, কেবল বসানো সত্ত্বেও সেতুর উপরিভাগ ভেঙে যাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ধরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই সেতুর কাঠামোটি ১০০ ফুটেরও বেশি লম্বা ছিল। যদিও, সৌভাগ্যক্রমে এই দুর্ঘটনায় কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্মীয়মান এই সেতুটি গঙ্গা নদীর উপর ১৭১০.৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। চার লেনের এই সেতুটি নির্মাণ করছে এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

   

মূলত, এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে আগুয়ানি এবং সুলতানগঞ্জ ঘাটের (ভাগলপুর জেলা) মধ্যে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে, এই সময়ে সুলতানগঞ্জ থেকে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর খুঁটির মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। যার কারণে গঠনটি তৈরি করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড কোম্পানির তৈরি করা এই সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নির্মাণ কাজের সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:
সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য- ৩,১৬০ মিটার
সেতুর ধরণ- কেবল ভিত্তিক
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য- ইন্টেলিজেন্ট ট্রফিক সিস্টেম এবং প্রবেশ পথের দৈর্ঘ্য ২৫ কিমি। এছাড়াও, আলোর ব্যবস্থা, যানবাহনের আন্ডারপাস, রোটারি ট্রাফিক, টোল প্লাজা সহ চার লেনের এই সেতুতে দুই লেনের দু’টি পৃথক সেতু নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি, গঙ্গার মূল স্রোতে স্তম্ভ বসানোর পরিবর্তে, কেবলের উপর একটি ঝুলন্ত সেতু থাকবে। যার মধ্যে দু’টি স্তম্ভের দূরত্ব হবে ১২৫ মিটার।

অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়া:
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাত সোয়া ৮ টা নাগাদ হঠাৎ করেই আবহাওয়ার মেজাজ পাল্টে যায় সেখানে। এমনকি, প্রবল বজ্রপাতের পর তুমুল বৃষ্টিও শুরু হয়। যদিও, তীব্র গরমের মধ্যে এই বৃষ্টি অনেকটা স্বস্তি এনে দিলেও ঝড়ের পর বহু শহরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এছাড়াও, বহু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টিতে স্বাভাবিক ফসলের পাশাপাশি আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে। শুধু তাই নয়, তীব্র ঝড়ের প্রভাবে অনেক জায়গায় বাড়িঘর ও দোকানের চালও উড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, জনজীবন হয়েছে বিপর্যস্ত।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর