লাঠি উঁচিয়ে একে অপরকে পেটাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আর পিওন! স্কুলের অন্দরের ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ঝাড়খণ্ডের পালামু। স্কুলে উপস্থিত হয়েই বারান্দায় একে অপরের দিকে লাঠি উঁচিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজের মাধ্যমে ঝগড়া শুরু করে দিলেন প্রধান শিক্ষক এবং পিয়ন। তবে, শুধু ঝগড়াই নয়, বরং তা পোঁছে যায় হাতাহাতিতেও। এদিকে, স্কুলের ভেতরেই দু’জনের এহেন কান্ড দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সেখানে উপস্থিত শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীরা।

পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। আর যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার।

কিন্তু, কেন ঘটল এই অদ্ভুত ঘটনা?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার সকালে মেদিনীনগরের একটি জেলা স্কুলে সেখানকার পিওন হিমাংশু তিওয়ারি সঠিকভাবে কাজ করছেন না বলে রেগে গিয়ে তাঁর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্কুলের প্রধান শিক্ষক করুণাশঙ্কর। এমনকি, একটা সময়ে তাঁরা একে অপরকে লাঠি উঁচিয়েও কথা বলতে থাকেন।

উভয়ের মধ্যেই বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় হওয়ার পরেই শুরু হয় গালিগালাজ এবং হাতাহাতি। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক করুণাশঙ্কর অভিযোগ করেছেন যে, ওই পিয়ন সর্বদা দেরি করে স্কুলে আসেন এবং কোনও কাজ না করেই অলসভাবে সময় কাটান। তিনি পিয়নকে সেই ব্যাপারে বলতে গেলেই, হিমাংশু তাঁর উদ্দেশ্য গালিগালাজ শুরু করেন।

পাশাপাশি, প্রধান শিক্ষক আরও অভিযোগ করেছেন যে, “হিমাংশু তিওয়ারি স্কুল পরিষ্কার করেন না। এমনকি, তিনি বাগানের গাছপালাতে জলও দেন না। যে কারণে এই গরমে সেগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও, হিমাংশু সময় মত স্কুলেও আসেন না। বা এলেও কিছু সময় কাটিয়ে, তিনি বাড়ি চলে যান।”

যদিও, পিয়ন হিমাংশু তিওয়ারি দাবি করেছেন যে, তিনি প্ৰতিদিন সকাল ছ’টায় স্কুলে পৌঁছে যান। প্রধান শিক্ষক অকারণে তাঁকে লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। পাশাপাশি, তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, “আমি পিয়ন বলেই কি আমাদের মতো মানুষের কোনো সম্মান নেই?”

শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন ওই পিয়ন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, “ওই প্রধান শিক্ষক জেলা স্কুলের হোস্টেলের জন্য বরাদ্দ ইট, কাঠ এবং লোহা বিক্রি করেছেন।”

যদিও, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের আবহে ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই ঘটনায় কার্যত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তাঁরা। পাশাপাশি, নেটমাধ্যমে নেটিজেনরাও এই ঘটনা দেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর