বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: খেলাধুলার ক্ষেত্রে বয়স-জালিয়াতি খুবই বড় অপরাধ বলে গণ্য হয়। যেহেতু বয়সের ক্ষেত্রে প্রতিটি খেলার জগতেই বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে কারণ তরুণ পর্যায়ের ম্যাচগুলি বয়স এবং বিভাগ অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এমন কিছু উদাহরণ আছে যখন ক্রিকেটাররা তাদের বয়সের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে যা তাদের ভবিষ্যতে বড় শাস্তির মুখোমুখি ফেলেছিল রাহুল দ্রাবিড় নিজে একবার বলেছিলেন যে তিনি মনে করেন যে বয়স জালিয়াতি সবচেয়ে জঘন্য অপরাধগুলির মধ্যে একটি। ভারতেই বেশ কিছু ক্রিকেটার এই অপরাধ করে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন।
১.প্রিন্স রাম নিওয়াস যাদব: ২০১৯ সালে তাকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ বিসিসিআই নজরে এনেছিল যে তিনি দলের সাথে একটি বয়সভিত্তিক গ্রুপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এবং তার চেয়ে কম বয়সী সতীর্থদের বিরুদ্ধে তার বয়স ৫ বছর কমিয়েছেন।
২. অঙ্কিত বায়ওনে: অঙ্কিতকে একটি অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কারণ কয়েক মাস বয়স কমিয়েছিলেন তিনি। তার বার্থ সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ ছিল ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৯২, কিন্তু বিসিসিআই-এর রেকর্ডে, তার জন্ম তারিখটি ছিল ১৭ ই ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে।
৩. রশিখ সালাম: একসময় তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শিবিরে সুযোগ পেয়েছিলেন এবং তিনি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে উঠে এসেছেন। কিন্তু বয়স ভাঁড়ানোর কারণে তাকে ২ বছরের জন্য টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
৪. মনযোৎ কালরা: ২০১৮ সালে অনুর্ধ ১৯ ভারতীয় দলের ম্যাচ খেলার সময়, তিনি সকলের নজর কাড়েন। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য মানুষ তাকে নিয়ে বড় বড় প্রত্যাশা করতে শুরু করেন। কিন্তু তার আসল বয়স প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে জানা যায় তিনি বয়স লুকিয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিসিসিআই তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
৫. নীতিশ রানা: কয়েক বছর আগে তিনি আইপিএল চলাকালীন কেকেআরের হয়ে খেলা উঠতি ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন ছিলেন, আজ নিজেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু বয়স জালিয়াতির কারণে ২০১৫ সালেই তাকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন সেই নিষেধাজ্ঞা তার কেরিয়ারেকে একটি বিশাল বিপর্যয়-এর মুখোমুখি ফেলেছিল।