বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্য পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন মহম্মদ সেলিম। এরপর থেকেই বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। সেই মেজাজ বজায় রেখেই গতকাল তিনি রাজ্য পুলিশ প্রসঙ্গে এমন এক মন্তব্য করে বসেন, যার পর সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
শনিবার বিষ্ণুপুরে তিনি রাজ্য পুলিশকে ‘কুকুরের’ সঙ্গে তুলনা করে বসেন। এরপরে তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে সেলিমের মন্তব্যের প্রতি নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করে। তবে নিজের মন্তব্যে এতটুকু দুঃখ প্রকাশ করা তো দূরের কথা, উল্টে আজ বীরভূমের রামপুরহাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আবারও এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
তিনি এদিন বলেন, “পুলিশের সঙ্গে আমি কুকুরের তুলনা করে কুকুরের অপমান করেছি।” স্বভাবতই তাঁর এই মন্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেস দলও পাল্টা দিয়েছে। আজ বগটুই কাণ্ড, হাঁসখালি নাবালিকা নির্যাতন এবং আনিস খানের মৃত্যুর মতো সম্প্রতি বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রামপুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করে সিপিএম। সেই মিছিলে হাজির হন সেলিম। পরবর্তীতে একটি জনসভায় তিনি বলেন, “গতকাল পুলিশের সঙ্গে কুকুরের তুলনা বিষয়ক মন্তব্যে তৃণমূলের কর্মীরা আমার সমালোচনা করে চলেছে। কিন্তু আমি আপনাদের বলে রাখি যে, আমি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। উল্টো কিছু বললে পরবর্তীতে আমি দুঃখ প্রকাশ করি। তাই আজকে আপনাদের সামনে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি যে গতকাল পুলিশের সঙ্গে কুকুরের তুলনা করা আমার উচিত হয়নি। এতে আমি কুকুরের অপমান করেছি, তাদের সম্মানহানি হয়েছে।”
পরবর্তীতে, জনসভার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা যদি কুকুরকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেন, তবে সে খুনিকে ধরবেই। কিন্তু বগটুইতে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে মামলা সম্বন্ধে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশ কি কোন কুকুর শুনবে?”
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই মন্তব্যের পর গতকালের মতোই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় তৃণমূল কংগ্রেস দল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ‘তোজোর কুকুর’ বলা লোকেদের কাছ থেকে এর বেশী আর কিছু আশা করা যায় না। ওরা নিজেদের সময় পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছিল। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আমাদের সমালোচনা করা উচিত। কারণ আমাদের ঘরের ছেলেরাই পুলিশের কাজ করে। ওনার এরম মন্তব্য করা উচিত হয়নি।”