বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় থামার লক্ষণ নিচ্ছে না কোনো পক্ষই! একদিকে যেমন হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, আবার অপরদিকে তৃণমূল নেতাও নিজের দিক থেকে ক্রমশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই, পুনরায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি না হওয়া! সেই উদ্দেশ্যে এদিনই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন বাংলার প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে চলে গেলেন তিনি।
সূত্রের খবর, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছেন যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কখনোই ‘পক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই অফিসে যেতে হচ্ছে তাঁকে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা। ফলে আগামী দিনে সেই পদক্ষেপের হাত থেকে বাঁচার জন্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন পার্থ। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকালে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পৌঁছে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানকার দুই বিচারপতি প্রথমে এই মামলা থেকে অব্যহতি নিলেও পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সেটি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে ওঠে। শুক্রবার সকালে এই মামলাটিরও শুনানি হওয়ার কথা। ফলে আগামীকাল এই জোড়া মামলার রায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উপরে উঠে আসে। এরপরে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে সিবিআই অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি আরো জানান, “সিবিআই যেকোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা না করলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে সংস্থা।”
আদালতের এই নির্দেশের পর তৃণমূল নেতা ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায় এবং এরপর গতকাল সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে বাধ্য হন পার্থ। সূত্রের খবর, বর্তমানে উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে তাঁর বক্তব্য মিলিয়ে দেখছে সিবিআই আর এক্ষেত্রে কোনো রকম অসঙ্গতি দেখা দিলে তাঁকে পুনরায় একবার জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। এহেন আশঙ্কা উঠে আসতেই এদিন সকালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল নেতা। প্রথমে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর মামলাটি গ্রহণ করা হয় আর এবার আবার সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে মামলা দায়ের করলো পার্থর আইনজীবী। তবে শেষপর্যন্ত জোড়া মামলায় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী সিবিআই তদন্তের হাত থেকে রক্ষা কবচ পান কিনা, সেটাই দেখার।