বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের ‘কুইন’ তকমাটা বোধ করি এবার হাতছাড়া হল কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut)। একের পর এক ছবি ফ্লপ হয়েই চলেছে তাঁর। পরপর ৯ টি ছবি ব্যর্থতার মুখ দেখেছে কঙ্গনার। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকে টেক্কা দেওয়া তো দূর, নিজের ইন্ডাস্ট্রিতেই পাত্তা পাচ্ছেন না অভিনেত্রী। পরিস্থিতি এখন এমনি যে ‘ধাকড়’ (Dhaakad) এর OTT তে (OTT platform) মুক্তির জন্য স্বত্ব পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে না।
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ধাকড়। ছবিটির জন্য অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কঙ্গনা। এই প্রথম ভারতীয় সিনেমায় মহিলা কেন্দ্রিক অ্যাকশনের গল্প আসতে চলেছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এজেন্ট অগ্নি হয়ে ওঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন অভিনেত্রী। এমনকি ছবির প্রচারের জন্য বলিউড তারকাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন।
কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। ছবি ব্যর্থ হওয়া বা বক্স অফিসে ব্যবসা করতে না পারা এই বিষয়গুলি বলিউড ছবির কাছে এখন আর নতুন নয়। কিন্তু কঙ্গনার ধাকড় কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ৫ কোটি টাকা তুলতেও হিমশিম খাচ্ছে এই ছবি। ফিল্ম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঙ্গনার এতদিনের কেরিয়ারে এটাই সবথেকে জঘন্য ছবি।
বড়পর্দায় চলছে না। এবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও ধাকড়ের মুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন বড়পর্দায় মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় সব ছবিই পরবর্তীকালে OTT তে মুক্তি পায়। সুপারহিট থেকে ফ্লপ ছবিও এসেছে OTT প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু ধাকড় এর ডিজিটাল এবং টেলিভিশনে সম্প্রচারের স্বত্ব কিনতে কেউ রাজিই হচ্ছে না।
সাধারণত ছবিগুলির বড়পর্দায় মুক্তির আগেই এই স্বত্ব গুলি বিক্রি হয়ে যায়। আর সেই টাকাতেই হয় প্রযোজকদের লাভ। কিন্তু ধাকড় এর প্রযোজকরা অতিরিক্ত লাভের আশাতেই নিজেদের ভরাডুবি ডেকে এনেছেন। সূত্রের খবর, মুক্তির আগে ধাকড় এরও OTT এবং টেলিভিশন স্বত্ব কেনার জন্য প্রস্তাব এসেছিল।
কিন্তু লোভে পড়ে তখন কম টাকায় স্বত্ব বেচতে রাজি হননি প্রযোজকরা। ফলতঃ এখন শিয়রে শনি। বক্স অফিসে চরম ফ্লপ হওয়ায় এখন আর কেউই স্বত্ব কিনতে এগিয়ে আসছে না। অন্তত ভাল অঙ্কের টাকায় যে ধাকড়ের স্বত্ব বিক্রি করা সম্ভব নয় তা বুঝে গিয়েছেন প্রযোজকরা।
প্রথমে গোটা দেশে ২১০০ টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছিল ধাকড়। কিন্তু ছবির পরিণতি দেখে এখন বেশিরভাগ সিঙ্গল স্ক্রিন এবং মাল্টিপ্লেক্স থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো ভয়াবহ ব্যাপার, ১০০ কোটি টাকা বাজেটে ছবি তৈরি করেছিলেন কঙ্গনা। সে ছবি এখনো ৪ কোটিও তুলতে পারেনি। আক্ষরিক অর্থেই প্রযোজকদের ভাঁড়ে মা ভবানী!