বাংলা হান্ট ডেস্ক: এর আগেই ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গ একাধিকবার উপস্থাপিত হয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু, এবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হতেই কার্যত সামনে এল অবাক করা তথ্য। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, গত আট মাসে রাজ্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ রেশন কার্ড। এমনকি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সেগুলির মধ্যে কিছুসংখ্যক কার্ড বাদ দিয়ে বাকি সবই ভুয়ো কার্ড ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি অভিযোগ, সেগুলি দিয়ে রেশনের সামগ্রী তুলে পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করত কিছুসংখ্যক অসাধু রেশন ডিলার এবং রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের একাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত রাজ্যে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৫৫ টি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। যেগুলির মধ্যে অধিকাংশই ভুয়ো রেশন কার্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
যদিও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণবশত প্রকৃত গ্রাহকদের কার্ডও নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করার ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে প্রায় ১৪.১৬ লক্ষ কার্ড বন্ধ হয়েছে। তালিকায় ঠিক তারপরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মালদা। ওই দু’টি জেলায় ১০.৯২ লক্ষ রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছে। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই মুর্শিদাবাদও। সেই জেলায় এই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৮.৬২ লক্ষ-তে।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা করে তার পরিবর্তে যথেচ্ছহারে ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। এদিকে, সেই কার্ডগুলিরই একটা বড় অংশ ভুয়ো ছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
যদিও, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি শুরু হওয়ার ফলে এখন সেই কার্ডগুলির সত্যতাই সামনে এসেছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেশন বণ্টন। নতুন এই পদ্ধতির ফলে এখন গ্রাহককে আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে হয়। পাশাপাশি, রেশন কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে আধার কার্ডও। আর এর ফলেই একই নামে একাধিক রেশন কার্ড থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এভাবেই, কমে গিয়েছে ভুয়ো রেশন কার্ডের রমরমাও।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট