বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতির মামলা ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আর এ সকল মামলাগুলিতে পুলিশের বদলে সিবিআইয়ের ওপর আপাতত ভরসা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে দিনের পর দিন মামলার সংখ্যা যেমন বেড়ে চলেছে, ঠিক উল্টোদিকে অতীতে গরু এবং কয়লা পাচার দুর্নীতি মামলাগুলির তদন্ত-গতি হয়ে পড়েছে শ্লথ। এই পরিস্থিতিতে কাজের গতি বাড়ানোর জন্যই কলকাতার সিবিআই দপ্তরে আমূল পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে বলে খবর। সম্প্রতি, জয়েন্ট ডিরেক্টর পদে যেমন পরিবর্তন আনা হয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই আগামী কয়েকদিনে কলকাতা অফিসে আসতে চলেছে বেশ কয়েকজন নতুন অফিসার আর এই সকল পরিবর্তনের ফলে তদন্তের গতি আরও দ্রুত হবে বলেই আশা গোয়েন্দা সংস্থার।
প্রসঙ্গত, গতকালই একটি মামলার শুনানি চলাকালে সিবিআইয়ের ওপর নিরাশা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি সিবিআই তদন্তের চেয়ে সিট গঠন করলে ভালো হতো কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করে বসেন বিচারপতি। একাধিক মহল থেকে যখন তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই মুহূর্তেই কলকাতা অফিসে ডিআইজি, ডিএসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
দিল্লি অফিসের এক সিবিআই কর্তা জানান, “কলকাতার সিবিআই দপ্তরে বর্তমানে অফিসারের সংখ্যা অত্যন্ত কম। যেভাবে একের পর এক মামলা বেড়ে চলেছে এবং সঙ্গে অতীতের গরু পাচার এবং কয়লা পাচারের মত মামলাগুলি পড়ে রয়েছে, তার জন্য আমরা বর্তমানে একাধিক অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে একজন ডিআইজি, দুই ডিএসপি, তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং চারজন ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হতে চলেছে।”
সম্প্রতি, সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইপিএস এন বেনুগোপালকে। 1995 সালে হিমাচল ক্যাডারের আইপিএস পদে নিযুক্ত হন বেনুগোপাল। ফলে বর্তমানে তাঁকে এই পদে নিয়ে আসার মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা আরও অগ্রগতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রাক্তন জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে প্রধানত দেওয়া হয়েছে চিট ফান্ড সংক্রান্ত মামলাগুলির দায়িত্ব। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আর্থিক তছরুপ মামলাগুলি তদন্ত চালাবেন তিনি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা এই পরিবর্তন তদন্তের গতিতে আদৌ কোনো রকম ফারাক আনে কিনা, সেটাই দেখার।