বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘নেশা বর্জন করুন, নেশা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলুন’ এই বার্তা নিয়ে ঠাকুরনগর থেকে হেঁটে কেদারনাথ যাচ্ছেন দুই যুবক। আনুমানিক ১৯০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কেদারনাথ যাওয়ার সিধান্ত নিলেন ঠাকুরনগর কাড়োলার এই দুই যুবক সৌগত ও সুমন।
“আত্মহত্যা কোনও সমস্যার সমাধান নয়” এই বার্তা নিয়ে সাইকেলে দেশের ২৪ রাজ্য ঘুরে মাস খানের আগে বাড়ি ফিরেছেন গাইঘাটার গুটড়ির যুবক সঞ্জয় বিশ্বাস। এবার তার দেখানো পথে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে সচেতনতার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে কেদারনাথ যাত্রা করছেন দুই বন্ধু। পরিবেশ দিবসের পরদিন পুজো দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে বাড়ি সৌগত বিশ্বাস ও সুমন মণ্ডলের। তাদের ইচ্ছা ছিল আগেই। তবে ট্রেন, বাসের পরিবর্তে পায়ে হেঁটে করছেন যাত্রা৷ তাদের উদ্দেশ্যকে সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এই পায়ে হেঁটে যাত্রা।
নেশা মুক্ত সমাজ গড়তে এবং মানুষকে সচেতন করতেই তাদের এই চিন্তাভাবনা। তাঁরা সামনে ও পিছনে ব্যানার লাগিয়ে এই প্রচার চালাচ্ছে। যাতে সমাজের প্রতিটা মানুষ একটু সচেতন হোক, এটাই তাদের উদ্দেশ্য। ঠাকুরনগর থেকে কেদারনাথ প্রায় ২ হাজার কিলোমিটারের রাস্তা। সেটা সম্পূর্ণ করতে ৭৫ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। সকলেই বাস, ট্রেনে কেদারনাথ দর্শন করতে যায়। কিন্তু এভাবে পায়ে হেঁটে এক অভিনব যাত্রা করেছে দুই বন্ধু। এর আগেও সিঙ্গুরের মিলন লাদাখ গিয়েছিল পায়ে হেঁটে ।
সৌগত বলেন, “পৃথিবীর মধ্যে যদি কোনও ভূস্বর্গ থেকে থাকে, তাহলে সেটা হচ্ছে কেদারনাথ, সমাজে যে ভাবে নেশার বারবারন্ত তাতে মনে হয়েছিল এই বার্তা তুলে ধরা উচিত। আর শরীরের জোরের থেকেও বেশি মনের জোরে এই উদ্যোগ। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিয়ে এদিন তারা হাঁটা শুরু করেন। তাদের যাত্রা শুরুতে পাশে ছিলেন সৌগতর মা শুক্লা বিশ্বাস ও সঞ্চয় বিশ্বাস সহ আরো বহু স্থানীয় বাসিন্দা ও ঠাকুরবাড়ির ভক্তরাও। প্রথম বার স্থানীয় যুবকদের এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছে ঠাকুরনগরবাসীরা। ছেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মা শুক্লা দেবী। তিনি বলেন, ও নিজের লক্ষ্যে জয়ী হয়ে আসুক তাতেই আমার আনন্দ। সমাজে নানা ক্ষেত্রে দেখা যায় নেশাগ্রস্ত হয়ে মূল পথ থেকে অনেকটাই আলাদা হয়ে যায়।
সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে গেলে তাই নেশাকে বর্জন করে মানসিক শক্তি কে হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে সেই বার্তা তুলে ধরতেই এই অভিনব উদ্যোগ। আগামী দিনে আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে তাদের বলেও যাত্রার পূর্বে জানান সৌগত সুমন। সৌগত বিশ্বাস ও সুমন মণ্ডলের এই সচেতনতার বার্তা দেখে অনেকেই অভিভূত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে সেলফি তুলছে বহু মানুষ।