বিধানসভায় গরহাজির দলীয় বিধায়করা! অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতেই হিমশিম খাচ্ছে তৃণমূল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা হোক কিংবা লোকসভা, ভোটাভুটির দিক থেকে কোনো প্রস্তাব পাশ করার ক্ষেত্রে শাসকের প্রধান ভরসা হয়ে ওঠে সংখ্যার আধিপত্য। বর্তমানে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা যেখানে 216, অপর দিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সংখ্যা মোটে 70। ফলে স্বভাবতই যেকোনো ভোটাভুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়লাভ একপ্রকার নিশ্চিত হিসেবেই ধরা হয়। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধায়কদের হাজিরার প্রসঙ্গ ক্রমেই দলের অন্দরে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বারংবার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও বিধানসভায় গরহাজির থাকছেন একাধিক বিধায়ক। তবে নেপথ্যের কারণ কী তা খুঁজে বের করাই সবচেয়ে মুশকিল ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনে একাধিক প্রস্তাব উঠতে পারে ভেবেই আগাম প্রস্তুতির সূচনা করেছিল শাসকপক্ষ। এক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসার বিষয়টি সহ একাধিক ইস্যুতে ভোটাভুটির অঙ্ক যে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা জেনে বিধানসভায় হাজির থাকার জন্য সকলকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় পরিষদীয় বৈঠকে। তবে তাতে যেকোন রকম লাভ হয়নি, তা সম্প্রতি দুটি ক্ষেত্রে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

আচার্য বদল প্রসঙ্গে পরপর দুই ভোটাভুটিতে শাসকদলের দিকে ভোটের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে 167 এবং 119। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, যেখানে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা 216, সেখানে শেষ ভোটাভুটিতে বাকি 97 টি ভোট না পড়ার কারণ কি? এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী দপ্তর থেকে একটি রিপোর্ট পর্যন্ত চেয়ে পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, “বিধানসভায় যারা অনুপস্থিত রয়েছেন, তারা কি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন? আর যদি তা থেকেও থাকেন, তাহলে এর পিছনে কারণ কি? যদি কোন বিধায়ক এক্ষেত্রে বিধানসভায় এসে ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ না করে থাকেন, তাহলে তাদের নাম পাঠানো হোক।”

jpg 20220619 103803 0000

যদিও এই প্রসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কোনরকম মন্তব্য করা হয়নি। তবে এদিন সরকারের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, “ছুটি নেওয়ার প্রসঙ্গটি আমরা বাদ দিচ্ছি। তবে কেউ যদি কোনরকম কারণ ছাড়াই গরহাজির থাকেন, তাহলে সেটা অনুচিত।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর