বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতবাসীর কাছে সবথেকে বড় সম্মান ভারতরত্ন (Bharat Ratna)। ২০০১ সালে এই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। তাঁর কোকিলকণ্ঠ দশকের পর দশক ধরে ভারত তথা গোটা বিশ্ববাসীর মন জয় করে এসেছে। ভবিষ্যতেও করবে। সুরের রানীকে তাই ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল সরকারের তরফে।
কিন্তু এত বড় একটা সম্মান পেয়েও উদযাপন করেননি লতা মঙ্গেশকর। নিজের পুরস্কার ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন তিনি। কেন? তা সম্প্রতি জানালেন সুরসম্রাজ্ঞীর ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর। দিদির ব্যাপারে নানান অজানা কথা জানিয়েছেন তিনি।
হৃদয়নাথ জানান, পরিবারের প্রতি গভীর টান ছিল লতা মঙ্গেশকরের। ভাই বোনদের মাথার উপর ছাতা হয়ে থেকেছেন তিনি সবসময়। হৃদয়নাথ বলেন, “দিদি সবসময় চাইতেন আমি পুরস্কার পাই। ওটা ওঁর স্বপ্ন ছিল। যখন তিনি নিজে ভারতরত্ন পেলেন তখন তার কোনো উদযাপন করেননি। কিন্তু যখন আমি পদ্মশ্রী পেলাম, দিদি উৎসবের মতো উদযাপন করেছিলেন।”
আরেক বোন ঊষা মঙ্গেশকর জানান, লতা মঙ্গেশকর কোনো গান গাইলেই আগে ছোট বোন মীনা খাদিকারের কাছে প্রতিক্রিয়া চাইতেন। তিনি গান রেকর্ড করতে গেলে বোন মীনাও সঙ্গে যেতেন। গান রেকর্ড করা হয়ে গেলে বোনের কাছে জানতে চাইতেন লতা, কেমন লাগল? মীনা সবুজ সংকেত দিলেই আশ্বস্ত হতেন সুরসম্রাজ্ঞী। এমনি ছিল বিশ্বাস।
লতা দিদির সঙ্গে আরেকটি স্মৃতি শেয়ার করেছিলেন আশা ভোঁসলে। সুরসম্রাজ্ঞী মানতেন, বাবা মায়ের পা ধোয়া জল খেলে সন্তানের জীবনে অনেক উন্নতি হবে। একবার বাবা মায়ের পা ধুয়ে সেই জল বোন আশাকে দিয়েছিলেন তিনি। নিজেও পান করেছিলেন। গায়িকা বলেন, এখনকার প্রজন্ম এসব কখনোই করবে না। উলটে বলবে, হাত ধুয়ে বাবা মা যেন জল নিয়ে আসেন।
লতা মঙ্গেশকর যখন প্রথম রোজগার করেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ বছর। ২৫ টাকা দিয়ে রোজগার শুরু করেছিলেন তিনি। ছোট ছোট ভাই বোনেদের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। এমনকি সংসার সামলানোর জন্য সারা জীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।