নূপুর শর্মার মাথা কেটে আনতে পারলে আমার বাড়ি দিয়ে দেব! ঘোষণা আজমির দরগাহের খাদিমের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নূপুর শর্মাকে নিয়ে বিতর্ক দিনের পর দিন জটিল আকার নিচ্ছে ভারতে। ইতিমধ্যেই নূপুর শর্মার পয়গম্বর বিরোধী বক্তব্যকে সমর্থন করার ‘অপরাধে’ মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক রাসায়নিকবিদ এবং রাজস্থানের উদয়পুরে এক সাধারণ দর্জিকে গলা কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এবার বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার মাথা কেটে আনতে পারলে নিজের বাড়ি লিখে দেওয়ার ঘোষণা করলেন রাজস্থানের আজমিরের হজরত খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতীর দরগাহের এক খাদিম । সালমান চিশতী নামের ওই খাদিমের একটি হুমকি ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

কী আছে সেই ভিডিওতে?

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে ওই খাদিমকে রীতিমতো হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে । তিনি রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘আমি আগের মতো আর নেই। নাহলে আমি এই কথা বলতাম না। আমার জন্মদাত্রী মা ও আমার সন্তানদের নামে শপথ করে বলছি, আমি নূপুর শর্মাকে সামনে পেলে প্রকাশ্যে গুলি করে মারতাম। আমি আজ বুক বাজিয়ে ঘোষণা করছি, যে নূপুর শর্মার মাথা কেটে আনতে পারবে, হু উইল গিভ মি হার হেড, আমি তাকে আমার পুরো বাড়িটাই লিখে দিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে যাব।” সালমান আরও বলেন, এই ঐশ্বর্য এই আরাম সবই নবীর দেওয়া। তাঁরই যদি সম্মান না থাকে তাহলে আমাদের কিসের সম্মান? বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসো সবাই। আমি আজও কাউকে কেটে ফেলার ক্ষমতা রাখি।’  তিনি নিজেকে খাজার প্রকৃত সৈনিক’ দাবি করেছেন। চোখ মুছতে মুছতে দরগাহের ওই খাদিম বলেন, ’এদিকে তোমাদের নবীর উপর একজন প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল, তোমরা সবাই ডুবে মরো।’

কে এই সালমান চিশতী?

জানা যাচ্ছে, হজরত খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতীর দরগাহের খাদিম সালমান চিশতী দরগা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টির বেশি গুরুতর অভিযোগের মামলা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন ও খুনের চেষ্টার মতো অভিযোগও। নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে গত ১৭ জুন আজমির দরগার খাদিম গওহর চিশতী দরগাহের বাইরে মৌন মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলেই উত্তেজক বক্তৃতা দেন সালমান। শুধু তাই নয়, ওই মিছিলে ‘গুস্তাখ ই রসূল কি হ্যায় সাজা, সর তন সে জুদা’ স্লোগান পর্যন্ত উঠেছিল । তারপর এদিন আবারও সালমান চিশতীর উস্কানিমূলক ভিডিও সামনে এল।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই আজমির শহরের আলওয়ার গেট থানায় সালমান চিশতীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলার এএসপি বিকাশ সাংওয়ান জানান, ‘ভিডিওতে সালমান চিশতীকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটির বিষয়ে পুলিশ দরগাহ ও আঞ্জুমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে। তবে অভিযুক্ত এই ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে কাশ্মীরে আছে বলে জানা যাচ্ছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর