বিজেপি যা বলে তা করে, ২০২৪-র আগে লাগু হবে CAA! বড় বয়ান সুকান্ত মজুমদারের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বারবার ভাঙন ধরেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক কর্মসূচি এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবাসীর প্রতি প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেই আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, এনআরসি এবং সিএএকে কেন্দ্র করে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের রাজনীতিতেও। আর এনআরসি এবং সিএএ’র প্রভাবে মতুয়ার ভোট অনেকখানি কমে গিয়েছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান। বর্তমানে বাংলায় যখন বিজেপির ভগ্ন দশা তখনই অবাক করার মত এক দাবী করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই হায়দ্রাবাদের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠক সেরে ফেরার পর তার বক্তব্য, “বিজেপি যা বলে তা করে। রামমন্দির বিজেপির লক্ষ্য ছিল। আইন ছাড়াই আমরা তা করে দেখিয়েছি। সিএএ (CAA) আমাদের লক্ষ্য। আমরা করে দেখাব, ২০২৪ সালের অনেক আগেই।” সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

   

এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । তিনি বলেন, “ওষুধ, সার, পেট্রলের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ কেন্দ্র।” এর পাশাপাশি কুনালের সংযোজন, “সুদ কমে গিয়ে মানুষের উপর আর্থিক চাপ বাড়তেই সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব বলছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মানুষের কথা না ভাবার জন্যই আর ভোটের আগে এসব বলার জন্য বাংলার মানুষ ওদের প্রত্যাহার করেছে।” কুনাল আরোও বলেন, “যারা এ রাজ্যের নাগরিক, ভোটার তালিকায় নাম আছে, যাঁদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা এ দেশের নাগরিক।” দেশের মানুষের মধ্যে আর্থিক চাপ তৈরি করে বিষ ঢালছে বলেও কটাক্ষ করেন শাসক দলের মুখপাত্র। তার কথায়, “বাংলার মানুষ এ জিনিসকে সমর্থন করবে না।”

ফলত, লোকসভা ভোটের আগেই বাংলায় সিএএ’র কার্যকরী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই বাংলার সংগঠনকে পাকাপোক্ত করার জন্য সুকান্তর বক্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর