বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যে ফের প্রতারণার খবর সামনে এল। এবার বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া ১০ টাকা অনলাইনে মেটাতে গিয়ে এক ধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক অধ্যাপক। এমনকি, আর্থিক প্রতারণার পরে তাঁর নম্বর থেকে বিভিন্ন অশ্লীল বার্তাও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার শিকার হয়েছেন কোচবিহারের মাথাভাঙা কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক আমজাদ হোসেন। পাশাপাশি, ঘটনাটির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সাইবার থানার দ্বারস্থও হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিলের ১০ টাকা বকেয়া মেটানোর প্রসঙ্গে একটি মেসেজ পান আমজাদ বাবু। পাশাপাশি, যে নম্বরটি থেকে ওই মেসেজটি এসেছিল সেই নম্বরে ফোন করে টাকা জমা দেওয়ার পদ্ধতি জানতে চাওয়া হলে বলা হয় যে, বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
এদিকে, কথা মত সংশ্লিষ্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু, তারপরেও তিনি কিছুতেই টাকাটি জমা দিতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায়, তিনি ফের তাঁর স্ত্রীর ফোন থেকে পুরো প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেন। ঠিক তখনই একের পর এক ওটিপি ঢুকতে শুরু করে মোবাইলে। শুধু তাই নয়, ওই ওটিপিগুলি তিনি ফোনে থাকা ব্যক্তিকেও জানিয়ে দেন। আর তারপরেই ঘটে যায় বিপত্তি।
তিনি বুঝতে পারেন যে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রমাগত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায়, তিনি পুরো ঘটনাটি আন্দাজ করতে পেরে তৎক্ষণাৎ ফোনটি কেটে দেন। পাশাপাশি, ওই অধ্যাপক দাবি করেন যে, সব মিলিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। যদিও, তারপরেও মেলেনি শান্তি। বরং তিনি বুঝতে পারেন, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অশ্লীল মেসেজ যেতে শুরু করেছে তাঁর ফোন থেকে। আর এরপরেই তিনি দ্বারস্থ হন পুলিশের। জানা গিয়েছে, কোচবিহারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।