বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও রক্তাক্ত ভূস্বর্গ (Jammu & Kashmir)। জানা যাচ্ছে, জঙ্গিদের আক্রমণে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ কর্মীর। আহত হয়েছেন দুই জন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটে শ্রীনগরের (Srinagar) লাল বাজার এলাকায়। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম মুস্তাক আহমেদ। আহতদের তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা বলেছেন, “এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।’
সূত্রের খবর, এদিন লাল বাজার এলাকায় আচমকাই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাদের বাধা দিতে উদ্যোগী হয় পুলিশকর্মীরা। কিন্তু, পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। তাদের গুলিতেই প্রাণ হারান পুলিশকর্মী মুস্তাক। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিহত পুলিশ কর্মী মুস্তাক আহমেদের নাম আরও একবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল ২০২০ সালে। তাঁর পুত্র আকিব আহমেদ নাম ভিড়িয়েছিল জঙ্গিদলে। দু’বছর আগে কুলগাঁওতে জঙ্গিদের সঙ্গে সীমান্তরক্ষীদের গুলির লড়াইয়ের সময় মারা যায় আকিব। আকিবের মৃত্যুর ক্ষত শুকতে না শুকতেই আবারও আঘাত পেল আহমেদ পরিবার। এই বিষয়ে ন্যশানাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘২০২০ সালে মুস্তাক আহমেদের ছেলে মারা যান। তাঁকে হত্যা করে ভারতীয় সেনা। এটা বোঝাই যাচ্ছে না মানুষকে বাঁচাবে কে আর মারবেই বা কে? সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন সবাইকে রক্ষা করেন।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বাড়ছিল। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উপত্যকায় ১৪১ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। এই তথ্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছিল। অবন্তীপোরায় গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে জইশ কমান্ডারের। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছিল মার্কিন এম ফোর কার্বাইন এবং পিস্তল। জানা গিয়েছে, জইশ কমান্ডার কাইসের রশিদ কোকা নিহত হয়েছে। সে ২০১৮ থেকে উপত্যকায় সক্রিয় ছিল। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।