মোটা বেতন! ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগ হচ্ছে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে, এভাবে করুন আবেদন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরি (Employment) বাজারে চলছে মন্দা। করোনা পরিস্থিতির জেরে গত দু বছর ধরে একেবারেই থমকে গিয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই কর্মচারীরা লোকসানের  সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বহু কর্মীর প্রয়োজন পড়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন সেক্টরে খুব শীঘ্রই ৩০ হাজার শূণ্য পদে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা আবেদনের সুযোগ পাবেন বলেই জানা গিয়েছে।

*বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ :*

উৎকর্ষ বাংলার এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে বেসরকারি সংস্থায় কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। কাজ করার ক্ষেত্রে যাতে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেই কারণেই পড়ুয়াদের প্রথমে স্বল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর তাদের কাজে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও, গ্রুপ সি,গ্রুপ ডি, DEO, MTS সহ বিভিন্ন সেক্টরে সরাসরি নিয়োগ করা হবে।

*নিয়োগ পদ্ধতি :*

প্রথমে চাকরিপ্রার্থীদের উৎকর্ষ বাংলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন জানানোর পর নিকটবর্তী যে স্থানে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে সেই জায়গায় হাজির থাকতে হবে। কবে কোথায় জব পেয়ার অনুষ্ঠিত হবে সেই সংক্রান্ত অফিসিয়াল নোটিফিকেশন ডাউনলোড করার পাশাপাশি জব ফেয়ারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা থেকেই যেহেতু কর্মীর প্রয়োজন তাই প্রত্যেকটি জেলার বাসিন্দারাই আবেদন করতে পারবেন।

*শিক্ষাগত যোগ্যতা :*

অফিসিয়াল নোটিফিকেশন ডাউনলোড করলেই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়াও, যারা উৎকর্ষ বাংলা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যাদের ITU ও পলিটেকনিক করা আছে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা মিলবে।

*আবেদন পদ্ধতি :*

চাকরিপ্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল https://www.pbssd.gov.in/

*প্রয়োজনীয় নথি :*

অ্যাডমিট কার্ডের সাথে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট লাগবে‌। এছাড়াও বাসিন্দার প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড কিংবা রেশন কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা করতে হবে। সেই সঙ্গে দিতে হবে বয়সের প্রমাণপত্র সহ পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি।

তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি আবেদন করে ফেলুন আর আবেদন করার আগে অবশ্যই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি একবার ভালো করে দেখে নেবেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর