বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিরিয়ালে শিশুশিল্পীদের গুরুত্ব অনেক দিন থেকেই ছিল। বিশেষ করে জি বাংলায় শিশুশিল্পীদের নিয়ে সিরিয়াল বরাবরই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই নতুন সিরিয়াল ‘বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’ (Bodhisattwor Bodhbuddhi) আসতে সকলেই উছ্বসিত হয়েছিলেন। ছোট্ট বোধির চমকে দেওয়ার মতো কাণ্ডকারখানা আর পরিবারের সদস্যদের মজার সব কীর্তিকলাপ বেশ উপভোগই করছিলেন দর্শকরা।
কিন্তু হঠাৎ করেই কাটল তাল। বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধির সাম্প্রতিক পর্ব দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ দর্শকদের একটা বড় অংশ। ছোট্ট বোধিসত্ত্ব নাকি অতিরিক্ত ‘পেছনপাকা ছেলে’। এই বয়স থেকেই তার মনে কুচুটে বুদ্ধি আর হিংসা ভর্তি। নিজে পড়াশোনায় ভাল বলে অন্য কাউকে প্রথম হতে দেবে না, এ আবার কেমন কথা?
ঠিক কী হয়েছে ব্যাপারটা? আসলে সিরিয়ালের গল্প অনুযায়ী, ছোট্ট বোধি নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর জানতে পারে শ্রীজিতা ওই ক্লাসে প্রথম হয়ে আসছে বরাবর। আর এটা শুনেই বোধি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসে মনে মনে, সে এসেছে মানে এবার সেই প্রথম হবে। আর শ্রীজিতা হবে লাস্ট।
প্রত্যেক পদক্ষেপে শ্রীজিতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়তে থাকে বোধি। এমনকি তার জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েও ইচ্ছা করে সান্ত্বনা পুরস্কার দেয় বোধি। পালটা শ্রীজিতা যখন বলে, তার রোল নম্বর ১ আর বোধির ৫১, তখনি মেজাজ বিগড়ে যায় তার।
শোধ তুলতে জন্মদিনের কেক কাটার সময়ে সকলের সামনে চিৎকার করে শ্রীজিতাকে ‘ফেলু ফেলু’ বলতে থাকে বোধিসত্ত্ব। শ্রীজিতার বাবা মারা যাওয়ায় সেবার পরীক্ষা দিতে পারেনি, এটা শুনেও জেদ দেখিয়ে চিৎকার করেই যেতে থাকে বোধি। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে রেগেমেগে সবার সামনেই ছেলেকে চড় মেরে বসেন তার মা।
দর্শকদের একাংশের দাবি, বোধিসত্ত্ব অত্যন্ত পেছনপাকা। এই বয়সেই এত হিংসা কেন তার মনে? একজন লিখেছেন, অনেক আগেই একটা চড় কষালে জ্যাঠামি বন্ধ হয়ে যেত। আরেকজন লিখেছেন, পরিবারের শাসন সবার আগে। বাচ্চা বলে শাসন করব না, এই ধারনার জন্যই এই অবস্থা।