SSC মামলায় আরও এক মিডলম্যানের খোঁজ! পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন কুমারকে গ্রেফতার করল CBI

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সিবিআইয়ের নজরে আরও একজন। প্রসন্ন কুমার রায় নামের ওই মিডলম্যান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই জানা যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসন্ন কুমারেরও বিরাট অংকের সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার তাঁকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে। আদালতে তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানাবে সিবিআই।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তারপর থেকে নাম উঠে এসেছে একের পর এক অভিযুক্তের। প্রথমে জেরা করা হয় শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে (SP Sinha)। সেই জেরাতেই উঠে আসে প্রদীপ সিং নামে এক মধ্যস্থতাকারীর নাম। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।

   

Untitled design 2022 08 27T104756.196

জানা যাচ্ছে, প্রদীপকে জেরা করে এবার প্রসন্ন কুমার রায়ের খোঁজ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারপরই সিবিআই অভিযানে নামে। হানা দেয় নিউটাউনে। শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ছ’টার সময় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতকে আজ শনিবারই আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্নরও কাজ ছিল প্রদীপেরই মতো। অযোগ্য প্রার্থীদের এসএসসি নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিত সে। তার বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের টাকাও নিত। তবে ঠিক কোন কোন এসএসসি নিয়োগ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করাত সে, তা এখনও জানা যায়নি। গ্রেফতারের পর শুক্রবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। হেফাজতে নেওয়ার পর প্রদীপ ও প্রসন্ন দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।

86128510 6e8a 4ca0 848e cbedbbb1c328 1

প্রসন্ন সম্পত্তির পরিমাণও যথেষ্ট সন্দেহজনক। সুন্দরবন, দিঘা, পুরীতে একাধিক হোটেল রয়েছে প্রসন্নর। এমনকী দুবাইতেও তার হোটেল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এতগুলি হোটেলের মালিক হলেন কীভাবে প্রসন্ন? তার এই বিপুল আয়ের উৎসই বা কী? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

প্রসন্ন কুমার গ্রেফতার হওয়ার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গোটা বাংলায় এমন মিডলম্যান আরও খুঁজে পাওয়া যাবে। বিদেশেও সম্পত্তি থাকতে পারে। যেরকম যেরকম এজেন্সির হাতে তথ্য আসছে, সেরকমভাবে তদন্ত এগোচ্ছে। জেলায় জেলায় এরকম লোক অনেকেই আছে। তারাই টাকা সংগ্রহ করত। তারাই তালিকা নিয়ে আসত। একটা এজেন্সির মতো সমান্তরাল সিস্টেম চালানো হত বাংলায়।’

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর