বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেজিএফ আর তার অভাবনীয় সাফল্যের পর কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ (KGF Chapter 2)। এই দুই ছবিই এক লহমায় বদলে দেয় যশের জীবন। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা থেকে গোটা দেশের জনপ্রিয় নাম হয়ে ওঠেন তিনি। তেলুগু ব্লকবাস্টার ‘আর আর আর’কেও ছাপিয়ে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছিল ওই ছবি। কিন্তু চূড়ান্ত সফল একটি ছবির নেপথ্যে থাকা অভিনেতাদের কষ্টের কথা কতজন জানতে পারে?
কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হরিশ রাই (Harish Rai)। অনেকেই জানে না, গত তিন বছর ধরে মারণ রোগকে শরীরে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। কণ্ঠনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত হরিশ। চিকিৎসা করানোর মতো পর্যাপ্ত টাকাও ছিল না তাঁর কাছে। ক্যানসার নিয়েই কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ তে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে হরিশ বলেন, ভাগ্যকে কখনো এড়িয়ে যাওয়া যায় না। গত তিন বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ তে অভিনয়ের সময়ে লম্বা দাড়ি রেখেছিলেন হরিশ, যাতে ক্যানসারের জন্য হওয়া গলার ফোলাভাব না দেখা যায়।
হরিশ জানান, তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টাকাই ছিল না। ছবি মুক্তি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না তাঁর কাছে। চিকিৎসা পেছোতে পেছোতে এখন ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছেন অভিনেতা। তাঁর স্বাস্থ্যের দিনদিন অবনতি হচ্ছে।
১২০০ কোটি পেরোনো ছবির অভিনেতা টাকার অভাবে অনুরাগীদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু সাহায্য চেয়ে ভিডিওটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেননি তিনি। তবে এখন পরিস্থিতি দেখে হরিশ রাই আর্জি জানিয়েছেন, যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি তাঁর চিকিৎসার জন্য বাকি টাকাটুকুর ব্যবস্থা করে দেন।
নিজের সমস্ত সঞ্চয় চিকিৎসার পেছনেই চলে গিয়েছে অভিনেতার। মাসে ৩ লাখ টাকা খরচ হয় তাঁর চিকিৎসার জন্য। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির যথেষ্ট জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। কিন্তু ভাগ্যের এমনি ফের যে অত্যন্ত কঠিন সময়ে পাশে কাউকে পাচ্ছেন না হরিশ।