বাংলা হান্ট ডেস্ক: যেখানে একবার বিয়ে করেই সামলাতে না পেরে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যান অনেকে সেখানে পঞ্চমবারের জন্য বিয়ে (Marriage) করতে গিয়ে “ফেঁসে” গেলেন এক প্রৌঢ়। হ্যাঁ, শুনে অবাক হয়ে গেলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা এবার সামনে এসেছে। এমনিতেই আমাদের দেশে একাধিক বিয়ে করা আইনবিরুদ্ধ ঘটনা। কিন্তু, সেখানে ওই প্রৌঢ়ের এহেন ঘটনা শুনে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে সবার।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বছর পঞ্চান্নর শফি আহমেদ (Shafi Ahmad)-এর চার স্ত্রী ও সাত সন্তান রয়েছে। কিন্তু, এরপরেও তিনি ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যান। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। এমনকি, বাবার বিয়ে আটকাতে সরাসরি ছাদনাতলাতেই গিয়ে উপস্থিত হয় তাঁর সন্তানেরা। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সর্বোপরি, সন্তানদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
খবর অনুযায়ী, গত বুধবার রাতে পঞ্চম বিয়ের জন্য বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন শফি আহমেদ। ঠিক তখনই তাঁর সাতজন সন্তান বিয়ের মণ্ডপে হাজির হয়ে তাঁকে পুনরায় বিয়ে করতে বাধা দেয়। এমনকি, তুমুল বাকবিতন্ডাও শুরু হয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে সম্পন্ন হয়। আর তাতেই ধরা পড়ে যান ওই প্রৌঢ়।
মূলত, এই ঘটনা সম্পর্কে আগেভাগেই পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিল সন্তানরা। এমতাবস্থায়, বুধবার রাতে একদম ফিল্মি কায়দায় শফির সাত সন্তান তাঁর বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি সেজে হাজির হয়েছিল। আর সেখানেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান শফি। বিয়ের ঠিক কয়েকমুহূর্ত আগেই কনের পরিবারের সদস্যদের সামনে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করে সাতজন।
আর এই ঘটনাতেই রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন সেখানে উপস্থিত সবাই। এমনকি, বিরাট শোরগোল পড়ে যায় বিবাহের স্থানে। শফির সাথে তাঁর সন্তানদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হওয়ার পর একটা সময়ে মারামারি শুরু হয়ে যায় বলেও খবর পাওয়া গেছে। ঠিক সেইসময়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক তেজ প্রকাশ সিং জানান যে, “ওই প্রৌঢ়ের ছেলেরাই এই ঘটনার কথা জানায় আমাদের। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছই এবং গ্রেপ্তার করি তাঁকে।”