বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই এবার আশা কর্মী নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। একটি ভাইরাল অডিও ক্লিপের মাধ্যমে এই দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে। একটি অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের তফসিলি জনজাতি মোর্চার সভাপতি এক মহিলার স্বামীকে টাকার বিনিময় নিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া এই অডিও ক্লিপটি নিয়ে এখন ফের উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি।
সাম্প্রতিককালে মালদহ জেলায় আশা কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ললিত মাহাতো নামে মালদহের হবিবপুরের পলাশ বোনা এলাকার বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন মালদহ জেলা এসটি মোর্চার সভাপতি চুনিয়া মুর্মু তার স্ত্রীকে আশা কর্মী পদে নিয়োগ করিয়ে দেওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করেছেন। তাদের কথোপকথনের কল রেকর্ডটি ভাইরাল হওয়ার পর হইচই পরে যায় মালদহ জেলা জুড়ে।
ললিত মাহাতোর অভিযোগ জেলায় আশা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে। তার স্ত্রী জয়ন্তী মূর্মুর সবার থেকে বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও তাকে নিয়োগ করা হয়নি। ললিতের আরো অভিযোগ চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে চুনিয়া তার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না পারায় তার স্ত্রীকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলে সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছে, “ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি সত্যি চুনিয়ার কিনা তা এখনও প্রমাণিত নয়। যদি এটি সত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে দল ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” এই প্রেক্ষিতে বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন,”মন্ত্রীদের নির্দেশে এখন তৃণমূলে সবাই তোলাবাজি করছে। এখন তৃণমূল একটা চাকরি দেওয়ার সংস্থার নাম। গোটা দলেই পচন ধরে গেছে।”