বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও অস্বস্তিতে শাসক দল। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের নেতা-নেত্রীর (TMC Leaders) বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এল চাপড়ার বিধায়ক এবং চাপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতির নাম। শুধু তাই নয়, নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের এই মুহূর্তে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে এমন দাবি করে পোস্টারও পড়েছে এলাকায়। চাপড়া (Chapra) বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে এরকম একাধিক পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে শোরগোল। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তর্জা।
সাদা কাগজের উপর প্রিন্ট করা পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘চাকরি দেওয়ার নাম করে অ্যাডভান্স টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই মুহূর্তে সেই চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা আগাম টাকা দিয়েছিল তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। যাঁরা অগ্রিম দিয়েছেন, তাঁরা নিম্নে বর্ণিত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।’ পোস্টারগুলির নীচে তিনজনের নাম ও ঠিকানাও লেখা রয়েছে। এই তিনজন হলেন চাপড়ার বিধায়ক রূকবানুর রহমান, চাপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম এবং তাঁর ভাই জয়দেব ব্রহ্ম।
নদিয়ার (Nadia) চাপড়া বাসস্ট্যান্ডে এই ধরনের বেশ কয়েকটি পোস্টার পড়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কে বা কারা এই পোস্টারগুলি সাঁটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাপড়ার বিধায়ক রূকবানুর রহমান। তাঁর দাবি, এই পোস্টারের লেখা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং পুরোটাই বিরোধীদের চক্রান্ত। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে চান না বিধায়ক।
তিনি বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের সময় যারা আমাদের বিরোধিতা করেছিল, নির্দল হয়ে বা বিজেপি এবং সিপিএম-এর সঙ্গে মিলে লড়েছিল, তারা ভোটে জিততে পারেনি। এখন এই সমস্ত পোস্টার দিয়ে আমাদের বদনাম করার চক্রান্ত করছে। তবে সেই চক্রান্ত সফল হবে না। বিধায়ক আরও বলেন, ‘মানুষ সমস্ত জানে। কারা, কেন এই পোস্টার ফেলেছে তা এলাকাবাসীর অজানা নয়। তাই এই পোস্টারে কেউ গুরুত্ব দেবে না।’ কারও কোনও বিষয়ে অভিযোগ বা প্রশ্ন থাকলে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে উপদেশ দেন বিধায়ক।
অপরদিকে, এই পোস্টার প্রসঙ্গে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। BJP-র নদিয়া উত্তরের সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী চাপড়ার বিধায়কের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে চাপড়ার তৃণমূল নেতাদের ঘরেও খাটের নীচে থেকে টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক উদ্ধার হবে। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এলাকা হল চাপড়া বিধানসভা। চাপড়ার বিধায়ক চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। একদিন তাঁর এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বাড়ি থেকেও টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক উদ্ধার হবে।’