বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে এদিন সকাল থেকেই সরগরম হয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতি। শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য বিজেপি কর্মীরা ইতিমধ্যেই নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এর মাঝে এদিন পুলিশের চোখে একপ্রকার ‘ধুলো’ দিয়েই নবান্নের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায় বিরোধী দলের একাধিক কর্মীরা। তবে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন শিবপুরের মন্দিরতলা এলাকা দিয়ে নবান্নে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল বিজেপি কর্মীরা। তবে পুলিশের চোখে এক প্রকার ধুলো দিলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি তাদের পরিকল্পনা। নবান্ন ঢোকার মুহূর্তেই তাদেরকে আটক করে ফেলে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বুকে একের পর এক দুর্নীতি এবং হিংসা ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়িয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচির পাশাপাশি এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব; যা কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ব্যাপক গন্ডগোল এবং সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে অনুমান রাজ্য পুলিশের। সেই কারণে এদিন সকাল থেকেই আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যদিও এর মাঝেই সকল বাধা পেরিয়ে নবান্ন পৌঁছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীরা।
উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির তরফ থেকে মোট তিনটি মিছিল আসতে চলেছে নবান্নের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে হাওড়া থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং শিয়ালদহ ও সাঁতরাগাছি মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন যথাক্রমে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মিছিল আটকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। আবার অপরদিকে বাঁকুড়ায় চারজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এর মাঝেই আবার দলীয় কর্মীদের ঝাণ্ডার বদলে ডান্ডা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন BJP নেতা সুকান্ত মজুমদার। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে নয়া কোন বিতর্কের সূত্রপাত হয়, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।