বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Rally of BJP) ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় শহরে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তিতে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর কলকাতা এবং হাওড়া। বিজেপির এই অভিযান নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জাও। তৃণমূলের (TMC) তরফে দাবি করা হয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান পুরোপুরি ‘ফ্লপ শো’৷ এই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবিরও।
বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে আরও একবার পুলিস প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘নবান্নে বসে বিক্ষোভ দেখাতাম। কিন্তু দিদিই তো পালিয়ে গেছেন। তাই সেখানে তো করার কিছুই ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছেন আন্দোলন লগ্নে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাহলে আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন কেন এখন? এটা বলতে এসেছি যে চোরদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী পড়াশোনা করে রাস্তায় বসে আছে। তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে তাদের কথা একবার ভাবুন। এগুলো শোনার আগেই এত ঘাবড়ে যাবার কি আছে?’
বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচীতে বিজেপি কার্যালয়ে পুলিসের লাঠিচার্জ নিয়েও সরব হন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘পুলিসের যে অতি উৎসাহ এবং অতি সক্রিয়তা এটাই আমাদের চিন্তায় ফেলেছে। এবার সরকার কি আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে মারবে নাকি? ট্রেনে উঠতে দেয়নি, গাড়ি আটকেছে, গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। ঠিক আছে ভয় পেয়েছে বুঝেছি। এর বেশি লোক হলে সমস্যা হত ওদের। অভিযানের পরে লাঠি চলল জল ছুড়লো। সব হয়েছে মেনে নিয়েছি আমরা। তারপরও রাস্তায় ধরে ধরে কর্মীদের মেরেছে। পার্টি অফিসে ঢুকে মেরেছে। এই অতি সক্রিয়তা গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই ঠিক নয়।’
নবান্ন অভিযানের জন্য পুলিস অনুমতি মেলেনি। মঙ্গলবার যখন নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি, তখন কলকাতা ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ দিনের জেলা সফরে তিনি গেছেন দুই মেদিনীপুর। নেতাজি ইন্ডোরের সভার পরই খড়গপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খড়গপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। এরই সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সব শেষে কলকাতায় ফিরবেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার।