বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক অভিযোগ! মহিলা নয়, বরং পুরুষদের ছোঁয়াই বেশি পছন্দ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে বহু কমবয়সি ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখতেন তিনি। চাকরির নামেও নাকি অনেককে নিগ্রহ করেছেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন দাবি করলেন একদা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ সহচর আরমান ভোলা। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের দাপট নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।
মহিলা পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে ‘ডোন্ট টাচ মি’ মন্তব্য করে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে শানানো হচ্ছে একের পর এক আক্রমণ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন একদা ‘অনুগামী’ আরমান।
২০২০ সালে পূর্ব মেদিনীপুর-সহ গোটা রাজ্যে ‘দাদার অনুগামী’ পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে যায়। শুভেন্দুকে ঘিরে তৈরি হয় নতুন এক গোষ্ঠী ‘অনুগামী’। সেই গোষ্ঠীর নেতাই ছিলেন হলদিয়ার আরমান ভোলা-সহ মোট ৫ জন। এদিন তাঁরাই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরব হলেন। তাঁদের অভিযোগ, নিজের স্বার্থে জেলার ছেলেদের ভুল বুঝিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু। অনুগামী তৈরি করেছিলেন টাকা দিয়ে। রাজ্যজুড়ে প্রচার চালান টাকার বিনিময়ে। আরমান ভোলার আরও দাবি, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উপর শুভেন্দুর খুব রাগ। সেই রাগেই তো এসব করছেন। তখন বলতেন কলকাতার নেতারা জেলাকে বঞ্চনা করছে। এখন তো উনি নিজেই তাই করছেন।’ কিন্তু একদিন যে ছিলেন শুভেন্দুর বিশেষ বিশ্বস, হঠাৎ কী এমন হল যে সেই আজ বিশ্বাসভঙ্গ করলো? তাঁর সমস্ত কুকীর্তি জনসমক্ষে ফাঁস করে দিচ্ছেন?
এ প্রশ্নের উত্তর দেন আরমান নিজেই। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু বলছেন, রাষ্ট্রবাদী রাজ্য গড়বেন। আসলে তিনি স্বার্থবাদী রাজ্য গড়বেন। যেভাবে চলছেন উনি তাতে রাজ্যে হিংসা বাড়বে, অশান্তি ছড়াবে। তাই এবার আমরা ওঁর সমস্ত অভিসন্ধি ফাঁস করে দিচ্ছি।’
নন্দীগ্রাম ভোটের সময়ও শুভেন্দুর হয়ে কাজ করেছিলেন আরমান ভোলারা। সেই সময়ে নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা করার পর তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা হয়। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। আরমান ভোলার দাবি, সেদিন হলদিয়া থেকে প্রচুর ছেলে নন্দীগ্রাম আসে। বিশেষ একটা উদ্দেশ্য ছিল সেদিন। কী উদ্দেশ্য নিয়ে সেটা অবশ্য পুলিশ বা আদালতে জানাবেন বলে দাবি করেন ভোলা। কীভাবে জেলার একের পর এক ভোট শুভেন্দু নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন বিশ্বস্ত অনুগামী।
আরমান ভোলা ও তাঁর সঙ্গীরা দাবি করেন নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেই শুভেন্দুকে ত্যাগ করেছেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তাও চেয়েছেন ভোলা। ধীরে ধীরে শুভেন্দুর সমস্ত কাণ্ডই প্রকাশ্যে আনার হুমকিও এদিন দিলেন আরমান ভোলা।