বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ডিসেম্বর মাস থেকে এই সরকার চলতে দেব না’, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) আক্রমণ করে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনার প্রতিশ্রুতিও দিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নেতা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে গরু এবং কয়লা পাচার মামলা সহ একের পর এক মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা জেলে হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অতীতেও একাধিক সময় শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায় যে, তৃণমূল সরকারের আর বেশিদিন বাকি নেই! আর গতকাল ফের একবার সেই দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই একাধিক সময় নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এর আগে বিরোধী দলনেতা বলেন, “২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে আমরা বিধানসভা নির্বাচন করব।” আবার কখনো তাঁর মুখে শোনা যায়, “ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল সরকার ফেলে দেব।”
গতকাল বেহালার একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে শুভেন্দুর দাবি, “ডিসেম্বর মাস থেকে সরকার চলতে দেব না।” তবে শুধু শুভেন্দু অধিকারী একাই নন, একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের ন্যায় অন্যান্য একাধিক বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের গলায় শোনা গিয়েছে একই সুর। বাংলায় তৃণমূল সরকার যে বেশিদিন থাকবে না, সে বিষয়ে অতীতে একাধিক সময় দাবি করে এসেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
সম্প্রতি, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের চার নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনে বলেন, “১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা লুঠ করে চলেছে কিছু নেতারা। এদের সম্পত্তি যে পরিমাণে বেড়েছে, তার প্রমাণ আগামী দিনে দেওয়া হবে। এদের আসল সত্যতা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। তৃণমূলের যে ৯৯.৯ শতাংশ সবাই অসৎ, তা প্রমাণ করব আমরা।”
গতকাল আক্রমণের সেই ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, “তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির সকল ভিডিও ধীরে ধীরে প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলায় এই সরকার চলতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া তৃণমূল সরকারের ৮০ ভাগ মানুষ বর্তমানে আমাদের সঙ্গেই রয়েছে। এ বিষয়ে এখন কেউ বুঝতে না পারলেও সঠিক সময় আসলে সিগন্যাল দেব।”