ধর্নামঞ্চে লক্ষ্মীপুজো করে চাকরির ভিক্ষা! অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন চাকরির প্রার্থীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেটে গিয়েছে দেড় বছরেরও বেশি সময়। ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধর্না দিচ্ছেন অসংখ্য চাকরী প্রার্থী। তাদের দাবি একটাই, যতদিন না চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পাবেন ততদিন এই ধরনা মঞ্চ থেকে এক চুলও সরবেন না। আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা সামিল হলেন এক অভিনব প্রতিবাদে। কোন চাকরিপ্রার্থীকে মা লক্ষ্মী সাজিয়ে তারা ভিক্ষা করলেন চাকরির। আবার কোথাও সাদা পাতার উপর করলেন পুজো। দুর্গাপুজোর পরও লক্ষীপুজোর দিন ফের এক হৃদয়বিদারক ছবি দেখল শহর কলকাতা।

আজ ৫৭৪ তম দিনে পড়ল ধর্না। আদালতের নির্দেশ, বহু মন্ত্রী- আমালার জেল, তা সত্ত্বেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি এই চাকরি প্রার্থীদের। নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার লক্ষ্যে রোদ- ঝড় -জল মাথায় করে তারা এখনো ধর্না দিচ্ছেন ধর্মতলায়। এদের মধ্যে কারোর নাম রয়েছে টেট উত্তীর্ণদের তালিকায়। আবার কেউ কেউ যোগ্য গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থী। এদের মধ্যে কেউ কেউ আন্দোলন করছেন গান্ধী মূর্তি পাদদেশে, আবার কেউ আন্দোলনের জন্য বেছে নিয়েছেন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশ।

২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণরা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান করছেন। ধর্না মঞ্চ থেকেই তারা আরধনা করলেন মা লক্ষ্মীর। লক্ষ্মী পূজার দিন এক আন্দোলনকারীকে সাজানো হয়েছিল মা লক্ষ্মী রূপে। তার হাতে ছিল পদ্মফুল ও ধানের ছড়া। তাদের কারোর কারোর হাতে ধরা ছিল প্ল্যাকার্ড।

কোন প্ল্যাকার্ডে মা লক্ষীকে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে তারা চাকরি পান, আবার কোন প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, “এসো মা লক্ষ্মী বসো আমাদের ধরনা মঞ্চে।” প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীদেরই এবার একটাই মন্তব্য, যদি এবার তারা চাকরি নিয়োগ পত্র না পান এবার হয়তো স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য তারা আবেদন জানাবেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর