রাশিয়ার বিরোধিতা ভারতের! UNGA তে পুতিনের প্রস্তাবে সায় দিল না নয়াদিল্লি, ভোট দিল ইউক্রেনে পক্ষে!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল এসেম্বলিতে রাশিয়ার (UNGA) প্রস্তাবের বিরোধিতা করল ভারত। ইউক্রেনের (Eukraine) ভূখণ্ডের ৪ টি অঞ্চলে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে রাশিয়া (Russia)। এই মর্মে আলোচনার প্রস্তাব আনা হয় সাধারণ সভায়। সেই উদ্দেশ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। রাশিয়া দাবি করে এই নির্বাচনে ভোট দান হোক গুপ্ত পদ্ধতিতে। ভারত রাশিয়ার এই প্রস্তাবেরই বিরোধিতা করা। এদিন ভারত সহ মোট ১০০টিরও বেশি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মত দেয়।

জানা যাচ্ছে, মোট ১৯৩ টি সদস্য দেশের মধ্যে ১১৩টি দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে মত দেয়। যেখানে ছিল ভারতও। মাত্র ১৩টি দেশ ভোট দেয় রাশিয়ার পক্ষে। ৩৯টি দেশ ভোট দান থেকেই বিরত থাকে।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার (United Nations General Assembly) খসড়া প্রস্তাবে কোন দিকে ভারত ভোট দেবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব ছিল না। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা দিয়েই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সম্প্রতি ইউক্রেনের চারটি এলাকাকে রাশিয়া-র মধ্যে সংযুক্ত করে মস্কো। এই বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) খসড়া প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু সেখানে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত।

কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১১ বা ১২ অক্টোবর এই ইস্যুতে আবারও রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) খসড়া প্রস্তাব আনা হতে পারে। সোমবার এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, ‘ভারত কোন দিকে ভোট দেবে, তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে সেটা বুঝতে না দেওয়াটাই বিচক্ষণতার পরিচয় হবে। আমরা অবশ্যই ভারতের স্বার্থের দিকটা দেখব। এর পাশাপাশি বিশ্বের স্বার্থের দিকটাও দেখা হবে।’

সোমবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছনোর পর সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। পরে যুগ্মভাবে বিবৃতি দেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে উঠলে জয়শংকর বলেন, ‘যখন রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিলাম, তখন একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। কারণ ওই এলাকায় তখন যুদ্ধ চলছিল।’ পরে বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি করতে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে উদ্বেগের আরও বেশ কয়েকটি দিক রয়েছে। সেগুলি হয় বিভিন্ন দেশকে তুলতে হবে। নয়তো রাষ্ট্রসংঘকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলিকে সামনে আনতে হবে। ভারত যেটা করতে পারে, সেটা অবশ্যই করবে।’

ইউক্রেনের চারটি এলাকা রাশিয়ার মধ্যে সংযুক্তির পর এই বিষয়ে কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদমির জেলেনস্কি। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, সেখানে আরও একবার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি ফিরবে বলেই বার্তা দিয়েছিন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়, কথোপকথোনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক পদক্ষেপ কোনও বিকল্প হতে পারে না। যে কোনও মূল্যে শান্তি চায় ভারত।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর