বাংলাহান্ট এর : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় পদক্ষেপ ইডির (ED)। এবার সরাসরি চাকরি প্রাপকদের তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দুদিন আগেই ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) তারপর আজই গ্রুপ সি চাকরি প্রাপকদের নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই ঘটনায় শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।
পুজোর পরই অতি সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। কখনও ইডি কখনও সিবিআই একের পর এক আঘাত হানছে দুর্নীতি দুর্গে। ক্রমাগত আক্রমণে নাস্তানাবুদ রাজ্য সরকারও। অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের মহীরুহের ঠাঁই আপাতত শ্রীঘর। দফায় দফায় চলছে জেরা। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের মতো প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরাও ছাড় পাননি। তাদেরও যেতে হয়েছে হয় ইডি না হয় সিবিআই হেফাজতে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জাল আস্তে আস্তে গুটিয়ে আনতে চাইছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর সেই লক্ষ্যেই এবার তলব করা হল চাকরি প্রাপকদেরই।
ইডি সরাসরি চাকরি প্রাপকদের কাছ থেকে জানতে চাইছে কিভাবে চাকরি পেলেন তাঁরা? এই চাকরি পেতে কত টাকা করে দিতে হয়েছে তাঁদের? সেই টাকা তাঁরা কাকে কাকে দিয়েছিলেন? কিভাবে তাঁরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চাইছে ইডি। জানা যাচ্ছে তাঁদের সকলকে CGO আসার নির্দেশ দেওয়া হবে। তবে ইডির এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করা হয়নি।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও এসএস সি-র গ্রুপ ডি-র ৯৮ জন বেআইনি চাকরি প্রাপকদের সিবিআই নোটিসের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অন্তত পাঁচজনকে এই নোটিশ পাঠাতেই হবে বলেই কোর্ট নির্দেশ দেয় সিবিআই-কে। এই সময় এসিসি নিয়োগে ফৌজদারি অপরাধ খুজে পায় কলকাতা হাই কের্ট! বেআইনি নিয়োগের ‘কিংপিন’ ডঃ এস পি সিনহা! এমনই মনে করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন পাঁচ উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে ২ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও সিবিআই-কে দেয় আদালত। পাশাপাশি, ৫ আধিকারিকের সম্পত্তির হলফনামা তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।