বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিসিসিআই সভাপতি হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সফর শেষের মুখে। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকছেন তিনি। তারপরেই সরতে হবে তাঁকে। সৌরভকে যদিও আইপিএল চেয়ারম্যানের পদগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘দাদা’।
শোনা যাচ্ছে, মহারাজের বিরুদ্ধে নাকি একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাই বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিরোধীরা এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন। তৃণমূল, কংগ্রেসের অভিযোগ, সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিতে রাজি হননি বলেই নাকি এই ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিষয়টা নিয়ে এবার নিজস্ব মতামত জানালেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
সৌরভ বাঙালির আবেগ। সেই আবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে রুদ্রনীল বলেন, অবসর নেওয়ার পরেও সৌরভ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। মন সবারই খারাপ। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডেরও তো কিছু নিয়ম আছে। মানুষ যুক্তির উপরে আবেগকে স্থান দেয়।
সচিন তেন্ডুলকরের প্রসঙ্গ টেনে রুদ্রনীল বলেন, তিনিও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় এবং জনপ্রিয় নাম। বিশেষ করে সচিনের মাতৃভাষার মানুষদের কাছে তিনিও আবেগ স্বরূপ। একজন বাঙালি হিসাবে সৌরভকে খেলার মাঠ থেকে টিভির পর্দায় দেখতে রুদ্রনীলও পছন্দ করেন। কিন্তু তাঁর মতে, নিয়ম মেনেই বোর্ডকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সভাপতির পদ থেকে সৌরভ সরে যাচ্ছেন ঠিকই, তবে রুদ্রনীলের বিশ্বাস, আরো বড় কিছু অপেক্ষা করছে মহারাজের জন্য।
রাজনীতি থেকে দূরে থাকার জন্যই নাকি বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে সৌরভকে। অভিযোগের উত্তরে বিজেপির তারকা সদস্যের দাবি, বাংলার মানুষ সবেতেই রাজনীতি খোঁজেন। দুর্নীতি নিয়ে যতটা না চিৎকার হয় তার থেকে বেশি রাজনৈতিক আলোচনা হয় এখানে। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনের কথা এখনো প্রকাশ পায়নি। তার আগেই ভক্তরা বেশিই সমালোচনা শুরু করেছেন।