বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার (Government of Odisha)। মূলত, রবিবার ৭৭ বছরে পা দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)। ঠিক সেই আবহেই একটি বিরাট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে ওড়িশা সরকার আর চুক্তিতে নিয়োগ করবে না। এমনকি, বর্তমানে চুক্তির মাধ্যমে কর্মরত ৫৭ হাজার কর্মচারীকে স্থায়ী করে নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে গত শনিবার নবীন জানান, “আজ আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে রাজ্য মন্ত্রিসভা এবার নিয়োগের চুক্তি প্রথা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে, একাধিক রাজ্যে স্থায়ী পদে নিয়োগ করা হচ্ছে না। সেখানে এখনও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এবার ওড়িশায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের যুগ শেষ হয়ে গেল।”
এদিকে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা বন্ধের প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক আরও জানান যে, “এটি আমার জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে, এখন আমাদের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ওড়িশা নতুন পরিচয় তৈরি করেছে। এমতাবস্থায়, গত বছর থেকে আমরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পদগুলিতে স্থায়ী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
শুধু তাই নয়, রবিবারই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের ফলে ৫৭ হাজারেরও বেশি কর্মচারী উপকৃত হবেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “সরকার প্রতি বছর এই ক্ষেত্রে বাড়তি ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এই সিদ্ধান্ত ওই কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের জন্য দীপাবলির আগাম শুভেচ্ছা হিসেবে বিবেচিত হবে।”
এদিকে, এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই অনেকেই মনে করছেন যে, নবীনের এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কেন্দ্র ও এবং অন্য রাজ্য সরকারগুলির উপর প্রবল চাপ তৈরি করতে পারে। যদিও, এর পাশাপাশি অনেকে আবার এই সিদ্ধান্তে আদৌ অবিচল থাকা যাবে কিনা সেই প্রসঙ্গে সংশয় প্রকাশ করেছেন। মূলত, বর্তমানে চলা অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যেভাবে দেশের প্রতিটি রাজ্য প্রভাবিত হচ্ছে, সেই অবস্থায় কর্মচারীদের স্থায়ী পদে নিযুক্তির পর বেতনের সংস্থান করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে অনুমান করছেন অনেকে।